ফরিদপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২শ’ পেরিয়েছে। সবশেষ জেলায় নতুন করে আরো ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৪ জনে।
বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ১৩, ভাঙ্গায় ৫, সদরপুরে ২ এবং বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী ও সালথায় ১ জন করে। এ নিয়ে ফরিদপুর সদরে সর্বমোট ৫৮ জন, বোয়ালমারীতে ৪২ জন, ভাঙ্গায় ৩৩, আলফাডাঙ্গায় ২৪ জন, নগরকান্দায় ২১ জন, চরভদ্রাসনে ১২, সদরপুরে ৬ জন, মধুখালীতে ৫ জন এবং সালথায় ৩ জন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ফরিদপুর সদরে আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজনই আত্মীয়-স্বজন। তারা শহরের নিলটুলী মহল্লার বাসিন্দা। তাদের বয়স যথাক্রমে বৃদ্ধা ৬১, বৃদ্ধা ৫৭, তরুণ ৩২, ও ১৬ ও ১২ বছর বয়সী দুই কিশোর। এছাড়া সদরের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৪৩ বছর বয়সী এক পুরুষ ও ৪০ বছর বয়সী এক নারী আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকায় একটি শিশু, ইসমাইল শেখের ডাঙ্গীতে এক তরুণ, কমলাপুর মহল্লায় এক ব্যক্তি, গুহলক্ষ্মীপুর এলাকায় ৪৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি, দক্ষিণ ঝিলটুলী মহল্লায় এক আবাসন কেন্দ্রে এক কিশোর এবং ৪ বছরের এক শিশু রয়েছে।
ভাঙ্গায় শনাক্ত পাঁচজনের মধ্যে ছোটখারদিয়াতে এক তরুণ, কোর্ট পাড় এলাকায় এক বৃদ্ধ, কাফুরা সদরদী এলাকায় ৪০ বছর ও ৫৭ বছর বয়সী দুই ব্যক্তি, চুমুরদীতে ৩৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি রয়েছেন।
সদরপুরে আছেন শৈলডুবিতে ৩৫ বছরের এক ব্যক্তি এবং একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪৩ বছরের এক ব্যক্তি। বোয়ালমারীতে শনাক্ত হয়েছেন কলিমাঝি গ্রামের ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি, আলফাডাঙ্গায় শনাক্ত হয়েছেন ২১ বছর বয়সী এক তরুণ, মধুথালীর বাগাটে শনাক্ত হয়েছেন ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি এবং সালথায় শনাক্ত হয়েছেন বড় লক্ষ্মণদীয়া গ্রামের ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি।
বুধবার যে ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এরমধ্যে ১-২০ বছরের বয়সী রয়েছে ৫ জন, ২১-৪০ বছরের মধ্যে আছেন ১১ জন, ৪১-৬০ বছরের মধ্যে আছেন ৬ এবং ৬০ বছরের উর্ধ্বে আছেন ২ জন।
ফমেকের পিসিআর ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের মোট ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট শনাক্ত হয়েছে ৩৫ জন। এরমধ্যে ফরিদপুরে একটি ফলোআপসহ ২৫ জন এবং গোপালগঞ্জে শনাক্ত হয়েছে ১০ জন।
ফরিদপুরের এসপি মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ফরিদপুর সদর, ভাঙ্গা, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী ও সালথায় নতুন যে ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে তাদের প্রত্যেকের বাড়ি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আক্রান্ত সবার শারীরিক অবস্থা যাচাই করা হচ্ছে। শনাক্তদের বাড়িতে রেখে কিংবা শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে স্থনান্তর করা হবে। ডেইলি বাংলাদেশ। আরও পড়ুন
## যে কারণে করোনায় নারীদের তুলনায় পুরুষের মৃত্যু বেশি