• ঢাকা
  • রবিবার, ১লা পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
ভাতা বাতিলের অভিযোগে সালথার এক ইউপি সদস্যকে অপসারণ

মনির মোল্যা,সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে ভাতা বাতিল করার অভিযোগে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান শেখকে অপসারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী ইউপি সদস্য শাহাজাহানকে অপসারণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে গত ১১ নভেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউপি-১ শাখার উপসচিব পলি কর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইউপি সদস্য শাহাজান শেখকে অপসারণ করা হয়।

প্রজ্ঞাপণে বলা হয়, সালথা উপজেলাধীন গট্টি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান শেখ অবৈধভাবে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে বয়স্ক ভাতাভোগির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন-২০০৯ এর ৩৪(৫) ধারা মোতাবেক তার স্বীয় পদ হতে জনস্বার্থে অপসারণ করা হলো। তবে এ ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত সালথা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সৈয়দ ফজলে রাব্বী নোমানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, সালথায় জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে বাতিল করা হচ্ছে তাদের বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা। অসহায়দের ভাতা পেতে লাগছে ঘুস, শিকার হতে হচ্ছে হয়রানির। মাসের পর মাস ঘুরে ও ঘুসের টাকা দিয়েও অনেকের কপালে জুটছে না ভাতা। কারো কারো আবার ভাতা হওয়ার পরও পাচ্ছে না টাকা। নানা কৌশলে ভাতাপ্রাপ্তদের বিকাশ নম্বর ভুল দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভাতার টাকা।

গত কয়েক বছর ধরে সালথা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের অফিসকে অনিয়ম-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেন। তাদের স্বেচ্ছাচারিতা আর দুর্নীতির ফলে চরম বেকায়দায় পড়ে প্রতিনিয়ত নাজেহাল হন সেবাপ্রত্যাশারীরা। তবে এসব দুর্নীতি-অনিয়ম সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের যোগসাজশে চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে অনিয়ম-দুর্নীতির দায় নিয়ে ঠেলাঠেলি করেন সমাজসেবা অধিদপ্তর ও ইউনিয়ন পরিষদ।

অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, সচিব ও উদ্যোক্তারা অর্থের বিনিময় জীবিত ব্যক্তিদের মৃত সনদ সরবারহ করছেন। সেই সাথে নিজেদের পছন্দ মত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে সমাজসেবা অফিসে আবেদন করেন। পরে সমাজসেবা অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অর্থের বিনিময় ম্যানেজ করে নিজেদের পছন্দের লোকদের ভাতার আওতায় নিয়ে আসেন। এর ফলে অনেক অসহায়, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও বিধবা নারী ভাতার তালিকায় নাম ওঠাতে পারছেন না।

জানা গেছে, সালথায় ৯ বছর ধরে কর্মরত সমাজসেবা অফিসার সৈয়দ ফজলে রাব্বী নোমান। অথচ নিয়ম অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তা এক কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। তাছাড়া তিনি ঠিকমত অফিসও করেন না। প্রায় দিনই তার অফিসের দরজা খোলা থাকলেও সেবাপ্রত্যাশীরা তাকে পান না বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।

২৮ নভেম্বর ২০২৪

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।