রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নারী কাউন্সিলরের সামাজিক দুরত্ব না মেনে ত্রাণ বিতরনের অভিযোগ
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চলছে লকডাউন। করোনার ছড়িয়ে পড়া রোধে নিষিদ্ধ জনসমাগম। কিন্তু রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের এক কাউন্সিলর রীতিমতো মানুষের জটলা পাকিয়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করলেন। সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই ছিলো না সেখানে।বলা যেতে পারে বেআইনি কাজ।এই নারী কাউন্সিলরের নাম আয়েশা খাতুন নাদিরা। তিনি রাসিকের ৩, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের (জোন-২) সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর। নগরীর ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ভাটাপাড়ায় তার বাড়ি। মঙ্গলবার সকালে নিজের বাড়ির সামনে সংকীর্ণ গলির ভেতর তিন নম্বর ওয়ার্ডের ৩০০ নারী-পুরুষকে ত্রাণ দিতে ডাকেন তিনি। সামাজিক দূরত্ব না মেনে সেখানে হুড়োহুড়ি করে সবাই ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করেন।
তিন নম্বর ওয়ার্ডে না গিয়ে বাড়িতে বসেই ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে। কেউ কেউ চাল ওজনে কম দেয়ারও অভিযোগ করেছেন। আর জনসমাগম করে এভাবে ত্রাণ বিতরণ করায় অন্য কাউন্সিলররাও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারী কাউন্সিলর নাদিরা গণমাধ্যমকে বলেন, এভাবেই ত্রাণ বিতরণ করা হবে। যা খুশি লিখতে পারেন। ছয় নম্বর ওয়ার্ডে বসে তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ত্রাণ বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তার ইচ্ছা। তার যেভাবে সুবিধা সেভাবেই বিতরণ করবেন।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে স্থানীয় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশেও প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। কিন্তু একজন নারী কাউন্সিলর জনসমাগম করে এমন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেবেন তা তারা মানতেই পারছেন না। বিষয়টি সিটি মেয়রকে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু বলেন, নাদিরা একজন কাউন্সিলর হিসেবে সরকারি সব ধরনের নিয়ম-কানুন জানেন। সব জেনেও যদি এ রকম করেন তাহলে এটা খুবই দুঃখজনক।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান গণমাধ্যমকে বলেন, ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি তাদের জানানো হয়নি। পরে শুনেছেন যে সেখানে খুব জটলা হয়েছে। আগে খবর পেলে পুলিশ দিয়ে হলেও সেখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হতো বলেও জানান তিনি।