রাজশাহীর দুর্গাপুরে সেফটি ট্যাংক থেকে মোবাইল ফোন তুলতে গিয়ে বিষক্রিয়ায় মা -ছেলে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কয়ামাজমপুর গ্রামে। এ ঘটনায় পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার কয়ামাজপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র ও কয়ামাজমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র রাসেল (১৬) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির পাশেই রিং স্লাব দিয়ে তৈরী আধা-পাঁকা পায়খানায় যায়। এসময় অসাবধনতা বশঃত পকেট থেকে তার মোবাইল ফোনটি পায়খানার ভিতরে পড়ে যায়। শৌচকার্য সেরে রাসেল বাড়ি ফিরে ঘটনাটি তার মা ফিরোজা বেগমকে জানায়।
পরে মা -ছেলে মিলে পড়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি তুলতে যায়। প্রথমে রাসেল হাতে পায়ে পলিথিন জড়িয়ে রিং উঠিয়ে পায়খানার মধ্যে নামেন। এ সময় মোবাইল ফোন খোঁজার চেষ্টা করতে থাকলে এক পর্যায়ে বিষক্রিয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ সময় বুঝতে পেরে ছেলেকে উদ্ধার করতে তার মা ফিরোজা বেগমও সেফটি ট্যাংকের মধ্যে নামলে তিনিও বিষক্রিয়ায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ঘটনার কিছুক্ষন পর প্রতিবেশীরা বুঝতে পেরে মা -ছেলেকে সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেন। পরে মা ছেলেকে স্থানীয় এক গ্রাম্য ডাক্তারকে খবর দেয়া হলে গ্রাম্য ডাক্তার আব্দুল ওয়াহেদ লালন গিয়ে মা- ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
ততক্ষনে মা-ছেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এরপর ঘটনাটি স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে জানান।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশীদা বানু কণা জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।