আমরা গত ১৭ বছর কোন প্রোগ্রাম করতে পারিনি —অধ্যাপক আব্দুল ওহাব
কবির হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম ফরিদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারী অধ্যাপক আব্দুল ওহাব বলেছেন, ২৮ অক্টোবর আমাদের যে ভাইয়েরা শহীদ হয়েছেন তাদের নিয়ে আমরা গত ১৭ বছর কোন প্রোগ্রাম করতে পারিনি। জুলাই বিপ্লবের পর সেই শহীদদের স্মরণে আমরা এখন অনুষ্ঠান করতে পেরেছি। আওয়ামী সরকারের আমলে ২৮ অক্টোবর নিয়ে আমরা কোন লিফলেট বিতরণ করতে পারি নাই, কোন পোস্টার লাগাতে পারি নাই। গত বছর যখন আমরা পোস্টার লাগাতে যাই আমাদের কিছু ভাইকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন রাতের বেলা উঠিয়ে নিয়ে যায়। খুব গোপনে আমাদের এই কাজগুলো করতে হয়েছে। আল্লাহতালার মেহেরবানীতে এখন আমাদের এই সুযোগ হয়েছে। ২৮ অক্টোবর জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীদের উপর পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ চালিয়ে আমাদের ভাইকে তারা শহীদ করেছে। চারজন ভাইকে তারা লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে জায়গায় মেরে ফেলেছে। এই গণহত্যা চালানোর মাধ্যমে আমাদের প্রত্যেকটা নেতা কর্মীর বাড়ি ঘরে তার হামলা চালিয়েছে।সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে আলফাডাঙ্গা আসাদুজ্জামান বালিকা বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী এলাকায় ভূইয়া ব্রিজ সংলগ্ন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আলফাডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর শাখার আয়োজনে ২৮ অক্টোবর ২০০৬ ‘পল্টন ট্রাজেডি’ স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, অনেক এলাকায় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। অনেক নেতা-কর্মীদের তারা জেলে ভরে দিয়েছিল। এ সকল নিপীড়নের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার করতে হবে। ইতিপূর্বে ২৮ অক্টোবর যারা শহীদ হয়েছেন সকল শহীদদের কবুলিয়াত কামনা করে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আলফাডাঙ্গা উপজেলা শাখার আমীর মাওঃ মোঃ কামাল হুসাইনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামের ফরিদপুর জেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ইমারত হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় জামাতনেতা ইমারত হোসেন বলেন, ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালে আজকের এই দিয়ে পল্টন ময়দানে আওয়ামী লীগের নেতারা জামায়াত-শিবিরে নেতাদের লগি-বইঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশের উপর দাঁড়িয়ে নৃত্য করেছিল। জামায়াত-শিবিরের উপর যে নির্যাতন হয়েছিল তার ন্যায় বিচার করতে হবে। আমরা কোন সংহিস প্রতিশোধ নিব না। ইসলামের বিপ্লবের মাধ্যমে এই পল্টন হত্যার বদলা নেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর আলফাডাঙ্গা
উপজেলা শাখার সেক্রেটারী এস এম হাফিজুর রহমান ও পৌরসভা শাখার আমীর প্রভাষক মোঃ ওয়াহিদুল ইসলামের যৌথ সন্ঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন,
আলফাডাঙ্গা উপজেলা শাখার সাবেক সেক্রেটারি মোঃ শাহাবুদ্দিন, নায়েবে আমির মাওলানা আবুল হাসান, উপজেলা শাখা সেক্রেটারি এস এম হাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাওলানা এস এম রিদুআনুন্নবী, সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা নিজামুদ্দিন, পৌরসভা শাখার সেক্রেটারি মো: মিকাইল হোসেন ও সভাপতি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (যুব বিভাগ) প্রমুখসহ অনেকে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মাও: হোসেন আহমেদ, মাও: আব্দুর রহমান, মাও: হুমায়ুন কবির, মাও:আব্দুল কুদ্দুস, মাও: সিদ্দিকুর রহমান, মাও: শামসুল আলম, বানা ইউনিয়নের আমির প্রভাষক মুরাদ হোসেনসহ জামাতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
