বিশ্বজুড়ে যখন কভিড-১৯ এর (নভেল করোনাভাইরাস) আতঙ্ক ঠিক সেসময়ে সুখবর দিলো পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। তারা স্যাটেলাইটের ছবি বিশ্লেষণে করে জানান, লকডাউনের ফলে কল-কারখানা বন্ধ থাকায় উল্লেখযোগ্য হারে কমছে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা। এতে সামনের দিনে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও দূষণমুক্ত এক পৃথিবী অপেক্ষা করছে বিশ্ববাসীর জন্য।
বিশ্বনেতারা যেখানে ব্যর্থ সেখানে কভিড গোত্রের নতুন ভাইরাসটি যেনো দায়িত্ব নিয়েছে দূষণে জর্জরিত এই পৃথিবীকে রক্ষা করতে।
কভিড-১৯ এর আতঙ্কে গোটা বিশ্ব এখন বিচ্ছিন্ন। অতি সংক্রামক এই ভাইরাসটির কারণে বন্ধ আছে কল- কারখানা। আর চলছে না গাড়ি, উড়ছে না বিমান এবং সমুদ্রে ভাসছে না নৌযান। আর এ সুযোগেই আসল রূপে ফিরছে প্রকৃতি। স্বচ্ছ আকাশ ও সবুজে চেয়ে গেছে বনাঞ্চল। প্রাণীকূলে ফিরছে স্বস্তি।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সিমোনেত্তা কেলি জানান, গত কয়েক মাসে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে কার্বন নিঃসরণ। কভিডের কারণে লকডাউন বা কারফিউর কারণে কল-কারখানা, যান চলাচল কমে আসা ও বনাঞ্চল উজাড় বন্ধে প্রকৃতি নিজেকে আবারও আসল রূপে ফিরিয়ে আনার সুযোগ পেয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এরিমধ্যে উপলদ্ধি করছে পৃথিবীবাসী। তাই বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া, দাবানল ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বারবার সতর্ক করলেও তা আমলে নেয়নি বিশ্বনেতারা। তাই সুযোগ পেলে প্রকৃতি যে নিজ থেকেই নিজেকে গুছিয়ে নেয়, এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ চেরনোবিল।