ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নির্দেশে ঈদের আগেই ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌছে দিল ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের কর্মরতরা। আজ বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ সকাল থেকে শুরু হয় এই কার্যক্রম। জেলা প্রশাসকের দিক নির্দেশনায় জেলা সদরে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপক কুমার রায়, চরভদ্রাসন উপজেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, সদরপুর উপজেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল কবির ত্রাণ তুলে দেন। এসময় প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে ত্রাণ প্রদান কার্যক্রমে সহায়তা করেন। ঈদকে সামনে রেখে চাহিদার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ত্রাণ প্রদান করা হয়। তবে ত্রান বিতরণের এ কার্যক্রম শুধু আজকেই নয় গত ৫ মাস যাবত প্রতিদিন চলছে ত্রাণ পৌছে দেয়া- বিতরণ কর্মকান্ড।
জেলার সদরপুর উপজেলার চর নাসিরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা, চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরট্যাগ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা, জেলা সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার লোকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এছাড়া জেলার অন্যান্য ইউনিয়নসমূহে ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে জেলায় ৫ শত ৫০ মেট্টিকটন জিআর চাল বিতরণ হচ্ছে। এছাড়া জেলায় ৪ লক্ষ টাকার শিশু খাদ্য, ৮ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এর বাইরে জেলায় নিয়মিত গো খাদ্য প্রদান করা হচ্ছে।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলাবাসীর দোড়গোড়ায় ত্রাণ পৌছে দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর দিকে এ বছরের মার্চ মাস থেকে। এরই মাঝে এ মাস থেকে শুরু বর্ষা। বর্ষায় ক্রমাগত পানি বৃদ্ধি হয়ে বন্যায় রূপান্তিরিত হতে না হতেই জেলার নিম্নাঞ্চলের জনসাধারণ পানি বন্দী হতে থাকে। তখন থেকেই জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। অব্যাহত ভাবে চলতে থাকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম। শুধু ত্রান বিতরণ নয়, চরাঞ্চলের জনগনের জন্য প্রদান করা হচ্ছে শুকনো খাদ্য সামগ্রী, পানির ক্যান, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। বিভিন্ন বঁাধ ও আশ্রয় কেন্দ্রে আগতদের মাঝে রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে নিয়মিত। শিশুদের জন্য আলাদাভাবে নিয়মিত পুষ্টিকর শিশু খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে। এদিকে বন্যা কবলিত কিশোরী ও নারীদের পাশে স্বাস্থ্য সামগ্রী নিয়ে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। একটি সংস্থার মাধ্যমে বন্যা কবলিত নারী ও কিশোরীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে মাসিক সুরক্ষা সামগ্রী (স্যানিটারি ন্যাপকিন)।
বন্যা ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের আসন্ন ঈদে যেন কোন রকমের সমস্যা না হয় সেদিকে জেলা প্রশাসন সদা সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।