ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুলপানদী গ্রামে আপন চাচীর সহায়তায় তৃতীয় শ্রেনী ছাত্রী(১২) ধষিতা হয়েছে।
এঘটনায় বৃহস্পতিবার ভাঙ্গা থানায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুর রহমান জানায় স্কুল ছাত্রীটি তার পিতাকে নিয়ে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করে। আমাদের পুলিশ অফিসার ঘটনার সততা পেয়ে ধর্ষক সাব্বির মুন্সি(১৯) পিতা-আলমগীর মুন্সি, ধর্ষনে সহায়তাকারি ধর্ষিতার চাচী রূপালী বেগম(২৮) স্বামী-জাহিদ মিয়া, ধর্ষনে সহায়তাকারি ইব্রাহীম শেক(১৭) পিতা-ইমান শেখ এবং আব্দুল্লাহ মাতুব্বর(১৮) পিতা-স্বপন মাতুব্বর এই ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইনে এবং ধর্ষনে সহায়তা করার অপরাধে মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর-২৩ তারিখ-২৯/১০/২০২০।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৮/৯/২০২০ তারিখে আপন চাচী রূপালী বেগমের কাছে রাতে ঘুমাতে যায় ঐ স্কুল ছাত্রী। গভীর রাতে চাচী তার মোবাইল ফোন দিয়ে ধর্ষক সহ তার সমমনা কয়েকজনকে ডেকে এনে রাত ২টার দিকে স্কুল ছাত্রীটিকে ধর্ষনে সহযোগিতা করেন।
বিষয়টি যাতে কেউ না জানে সেজন্য ধর্ষক সহ চাচী স্কুল ছাত্রীটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে মেয়েটির অস্বাভাবিক আচরনে মেয়েটির বাবা জাফর মিয়া ও মা সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতে চাইলে সে বিষয়টি খুলে বলে।
উক্ত বিষয়টি নিয়ে এলাকার গন্য মান্যদের কাছে সে বিচার প্রার্থনা করলে কাল ক্ষেপন করে মাতুব্বরেরা। অবশেষে উপায়ন্তর না দেখে মেয়েকে সাথে নিয়েই সরাসরি থানায় হাজির হয় বাবা।
এঘটনার পর এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছে ধর্ষক সহ তার সহযোগিরা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক শওকত হোসেন জানায় আসামীদের আটক করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
ধর্ষিতার পিতা বলেন, আমি গরীব ফেরিওয়ালা দিনের পর দিন বাহিরে ফেরি করে কোন রকমে সংসার চালাই। সাব্বির ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্ত মুলক বিচার আমি চাই।