“করোনা যুদ্ধে জয়ী, পুলিশ সদস্যদের প্লাজমায়
ফিরে পাবে কেউ নতুন জীবন, আমরা জীবন বাঁচাতে চাই” এই শ্লোগান নিয়ে “বাংলাদেশ পুলিশ ব্লাড ব্যাংক” -এ প্লাজমা ডোনেট করতে যাওয়ার প্রাক্কালে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে করোনা যুদ্ধে জয়ী পুলিশ সদস্যদের অভিনন্দন অনুষ্ঠান হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইনস কনফারেন্স হলে আজ সকাল ১১ টায় এ অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আলিমুজ্জামান বিপিএম সেবা। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) জামাল পাশা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সাইফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাশেদুল ইসলামসহ করোনা যুদ্ধে জয়ী সকল পুলিশ সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন রিজার্ভ অফিসার এস আই আনোয়ার হোসেন।
পুলিশ সুপার জানান, ফরিদপুরে করোনা শুরুর পর থেকে জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য জনগণকে করোনার প্রকোপ থেকে মুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন। এ কাজ করতে যেয়ে অনেক পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফরিদপুরে মৃত্যু বরণ করেছেন দুইজন পুলিশ সদস্য। যারা খুব বেশী অসুস্থ ছিলেন তাদেরকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য। আল্লাহর রহমত আর আমাদের স্যারদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে এখন আধুনিক মানের চিকিৎসা দেওয়া হয়। আর সকলে সুস্থও হচ্ছে দ্রুত।
আজ ২৩ জন পুলিশ সদস্য প্লাজমা ডোনেট করতে ঢাকায় যাচ্ছেন। যারা প্লাজমা ডোনেট করতে আজ রাতে ঢাকায় যাচ্ছেন তাদার সকলকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান প্রধান অতিথি। তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে আরও পুলিশ সদস্য প্লাজমা ডোনেট করবেন। আমরা চাই জনগণ যেন আমাদেরকে তাদের বন্ধু ভাবে। আমরা জনতার পুলিশ হতে চাই। এ সময় তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে করোনা কালিন ও বর্তমান বন্যার্তদের মাঝে তাদের ত্রাণ কার্যক্রম তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, শ্রদ্ধেয় আইজিপি স্যারের অঙ্গীকার মাদকের ব্যপারে শুন্য সহিষ্ণুতা। আর তাই ফরিদপুরে মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস, ভুমিদস্যুর কোন জায়গা হবে না। আমি ফরিদপুরে যোগদানের পর ১ বছর হয়েছে, এই সময়ে সবথেকে বেশী মাদক মামলা হয়েছে। আমরা ফরিদপুরকে মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস, চাদাবাজ, ভুমিদস্যু মুক্ত করবো। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।