• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং
কুষ্টিয়ায় করোনাজয়ী ডিসি মো: আসলাম হোসেনকে প্রেসক্লাব কেপিসি’র ফুলেল শুভেচ্ছা

২৯ জুন ২০২০ সোমবার

দীর্ঘ ২৩ দিনের সংগ্রাম করে করোনাযুদ্ধে জয়ী হয়ে নিজ কর্মস্থলে যোগ দিলেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক মোঃ আসলাম হোসেন। আজ সোমবার বেলা ১০টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ভবনের নিজ অফিস কক্ষে যোগদানকালে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া-জেইউকে নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি’র সভাপতি হাজী রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, যুগ্ম সম্পাদক শেখ হাসান বেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন শ্যামলী, কোষাধ্যক্ষ মিলন উল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক নাহিদ হাসান তিতাস, সদস্য নাব্বির আহমেদ, জাহিদ হোসেন, রিয়াজুল ইসলাম সেতু, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সহ-সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ, সাধারণ সম্পাদক জামিল হাসান খাান খোকন. মাহমুদুল হক বাদল, তানজিমুল হুদাসহ সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে সকল সহকর্মী কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উচ্ছসিত খুশিতে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন প্রিয় জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেনকে। যদিও আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় তিনি অফিসিয়াল কাজে শারিরীক ভাবে উপস্থিত না থাকলেও ভার্সুয়াল প্রযুক্তির মাধ্যমে সর্বসময় সহকর্মীদের সাথে থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
এসময় করোনামুক্ত জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন তার করোনা জয়ের অনুভুতি প্রকাশ করে বলেন, গত ৬জুন হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় তাৎক্ষনিক পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করান এবং কোভিড-১৯ সনাক্তের ফলাফল পজেটিভ আসে।

সেদিনই তিনি নিজ সরকারী বসভবনে আইসোলেটেড কক্ষে অবস্থান নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ শুরু করেন। পরে ১১দিন এবং ১৪দিনের মাথায় পর পর দুইদিন নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসায় চিকিৎসকরা তাকে করোনমুক্ত ঘোষণা করেন। এই যুদ্ধের অন্যতম প্রধান অস্ত্র হিসেবে মহান আল্লাহর উপর ভরসা এবং কঠোর মনোবল শক্তি বজায় রেখে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরনের পাশাপাশি ঘরোয়া মসলা জাতিয় উপাদান সহ গরম পানির উষ্ণতা নেয়ার সুফল পেয়েছেন বলে জানান।

তিনি তার সহকর্মী সহযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, আমার সহকর্মীরা প্রকৃত অর্থেই ঝুঁকি মাথায় নিয়ে কাজ করছেন। করোনা সংকট মোকাবিলায় সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসকদের পাশাপাশি প্রশাসনিক নানাবিধ কাজকর্ম, সর্বক্ষনিক মনিটরিং ছাড়াও মৃত:দের লাশ দাফনের কাজও তাদের করতে হচ্ছে। তবুও বলি বেশী আতঙ্কিত হবার দরকার নেই, আমরা যেহেতু ধর্ম মানি, সে কারণে মহান সৃষ্টি কর্তার প্রতি আস্থা রেখে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে হবে। প্রত্যেকটা মানুষের আয়ু যেহেতু আল্লাহ তায়ালা নির্ধারন করেছেন, সেটা মাথায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে কাজকর্ম করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কিছু চিকিৎসাগত বিষয় আছে সেটি গ্রহণ করবেন। এছাড়া চিকিৎসার বাইরেও কিছু নিজস্ব চিকিৎসা আছে যেমন গরম পানির ভাপ নেয়া, ফুসফুসের এক্সারসাইজ করা, রোদে থাকা, কিছু মসলা জাতিয় জিনিস দিয়ে গরগরা করা এরকম কিছু টোটকা ব্যবস্থা আছে এগুলি মেডিকেল সাইন্স সাপোর্ট না করলেও এর থেকে উপসমে বেশ ফলপ্রসু মনে হয়েছে। তবে দৃঢ় মনোবল বজায় রাখাটা অতি জরুরী। সেই সাথে প্রয়োজনীয় ক্যালরী বা পুষ্টির যোগানে খাওয়া-দাওয়াটা সঠিক নিয়মে করতে হবে। বিশেষ করে প্রোটিন ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্যসহ টাটকা ও গরম খাবার গ্রহন করতে হবে। এই ভাইরাস আক্রান্তদের যদি মারাত্মক শ্বাসকষ্ট না থাকে তাহলে এর থেকে পরিত্রানে খুব বেশী উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মার্চ ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« ফেব্রুয়ারি    
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।