সমাধান হচ্ছে তিস্তা চুক্তির
অবশেষে বহুল আলোচিত সীমান্ত হত্যা বন্ধ হতে যাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তে ঐক্যমতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ এবং ভারত। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নেতৃত্বে যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার ভার্চুায়ালি অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে নিজ নিজ দপ্তর থেকে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামানিয়াম জয়শংকর। করোনাকালীন সময়ে অনুষ্ঠিত এ সভা শেষে ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। এ ইস্যুতে ভারতও একই প্রকার মনোভাব প্রকাশ করেছে। দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে তিস্তা নদীর পানি বন্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিস্তা চুক্তিরও সমাধান হবে। ন্যায্যতার ভিত্তিতে তিস্তাসহ ৭টি নদীর পানি বন্টন শিগগিরই হবে বলে জানান তিনি।
বৈঠক সূত্রে অভিন্ন নদ-নদীগুলোর পানিবণ্টন, ভারতীয় ঋণের (লাইন অব ক্রেডিট, সংক্ষেপে এলওসি) আওতাধীন প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নসহ দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। এবারের বৈঠকেও সর্বশেষ জেসিসি বৈঠক ও শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনা বাস্তবায়নে অগ্রগতি এবং সম্পর্কের অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নয়াদিল্লিতে কমিশনের পঞ্চম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশে জেসিসির ষষ্ঠ বৈঠক আয়োজন করার কথা। করোনা মহামারীর কারণে যা এখন ভার্চুয়ালি হয়েছে।