দীপক আগারওয়ালকে ছয় মাসের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য সবধরনের ক্রিকেট থেকে বহিস্কার করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
আইসিসির দুর্নীতি-বিরোধী নিয়ম ভাঙার অভিযোগে এই শাস্তি দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বুধবার সন্ধ্যায় আইসিসির ওয়েবসাইটে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
টি-১০ টুর্নামেন্টের ফ্রাঞ্চাইজি সিন্ধির মালিকদের একজন দীপক আগারওয়াল। শৃঙ্খলা আইনের অনুচ্ছেদ ২.৪.৭ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে আগারওয়ালকে শাস্তি দিয়েছে আইসিসি। অভিযোগ উঠেছে, তদন্তকে বাধা দেওয়া বা বিলম্ব করা, তদন্তের সাথে প্রাসঙ্গিক হতে পারে এমন কোনও ডকুমেন্টেশন বা অন্যান্য তথ্য গোপন করা, তদন্তে হস্তক্ষেপ করা বা ধ্বংস করা সহ এবং যা প্রমাণ হিসাবে বা এর অধীনে রয়েছে সেগুলো নষ্ট করা হয়েছে।
আইসিসির অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন আগারওয়াল এবং দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালের শুনানির পরিবর্তে আইসিসির সাথে অনুমোদনের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবরের পর যে কোনো ক্রিকেটীয় কর্মকান্ডে জড়িত হতে পারবেন।
আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন,‘আগারওয়ালের আমাদের তদন্তকে বাধা এবং বিলম্ব করার বেশ কয়েকটি উদাহরণ রয়েছে এবং এটি কেবল একটি ঘটনা ছিল না। তবে তিনি আইসিসি দুর্নীতি দমন কোডের লঙ্ঘনের অভিযোগ স্বীকার করেছেন এবং অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের জড়িত বেশ কয়েকটি তদন্তের ক্ষেত্রে এসিইউতে যথেষ্ট সহায়তা প্রদান করেছেন। এই সহযোগিতা তার শাস্তির ওপরেও প্রতিফলিত হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, দীপক আগারওয়াল নামের এক ব্যক্তি আইসিসির তালিকাভুক্ত জুয়াড়ি। তবে টি-১০ টুর্নামেন্টের ফ্রাঞ্চাইজি সিন্ধির মালিক আগারওয়াল ও জুয়াড়ি আগারওয়াল একই ব্যক্তি কিনা তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। ভারতের জুয়াড়ি দীপক আগারওয়ালের থেকেই ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কোনো জুয়াড়িকে নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার আইসিসির নেই বলেই সংস্থাটির পক্ষে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে বলা সম্ভব নয় যে এই আগারওয়াল ও সাকিবকে প্রস্তাব দেওয়া জুয়াড়ি একই ব্যক্তি কিনা। তথ্য গোপন করার অপরাধে আইসিসি সাকিবকে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী ২৯ অক্টোবর।