ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) পরবর্তী সম্মেলন ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশন-এর সভাপতি ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে একথা জানান।’
প্রেস সচিব জানান, বান কি মুন সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন এবং সিভিএফ সম্মেলন ও অভিযোজন সম্মেলন সম্পর্কিত গ্লোবাল সেন্টারসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সাথে প্রায় ১২ মিনিট কথা বলেন।
ইহসানুল করিম বলেন, গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশন সম্মেলন আগামী সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। বান কি মুন এতে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
প্রেস সচিব বলেন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব সাহসের সাথে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং সুপার সাইক্লোন আম্ফান মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
এ প্রসঙ্গে বান কি মুন বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জনগণকে কোভিড-১৯ মহামারী এবং ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের মতো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারার মতো সহিষ্ণু করে গড়ে তুলতে হবে।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব দ্বিতীয়বারের মতো সিভিএফের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
তিনি সিভিএফ-এর ‘থিম্যাটিক রাষ্ট্রদূত’ হওয়ায় নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডারস এন্ড অটিজম সম্পর্কিত জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকেও অভিনন্দন জানান।
আলোচনার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ইহসানুল করিম অরো জানান, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফোন করার জন্য বান কি মুনকে ধন্যবাদ জানান।
সিভিএফ হলো বিশ্বব্যাপী বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৮টি দেশের একটি অংশীদারিত্বমূলক ফোরাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ডিসেম্বরে প্যারিসে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন হিসেবে পরিচিত পার্টিসমূহের ২৫তম বার্ষিক সম্মেলনে (সিওপি ২৫) মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিলদা হেইন কর্তৃক সিভিএফের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। বাসস।