ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নেই গরুবাহী ট্রাকের চাপ। কোরবানি ঈদের গরুর ট্রিপ না পাওয়ায় হতাশ ট্রাকচালক এবং মালিকরা। বন্যা আর করোনাভাইরাসের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
টাঙ্গাইল ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ট্রাকের সংখ্যা চার হাজার ২০০। কিন্তু এবার বন্যা আর করোনাভাইরাসের প্রভাবে কোনো ট্রাকের ভাড়া নেই।
গতকাল বুধবার (২৯ জুলাই) সরেজমিনে টাঙ্গাইল মহাড়কের আশেকপুর বাইপাসে দেখা গেছে এমন চিত্র। বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহন চলাচল করলেও নেই গরুবাহী ট্রাকের চাপ। অন্যান্য বছর এ সময় গরুবাহী ট্রাকের কারণে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হলেও এবার ফাঁকা এই মহাসড়ক। বাস চলাচল করলেও যাত্রীদের তেমন চাপ নেই।
ট্রাকচালক খলিল মিয়া বলেন, গত বছর কোরবানির ঈদের আগে এমন সময় ঢাকায় গরুর দুই ট্রিপ নিয়ে গেছি। গতবার তেমন গরুর ট্রিপ মারিনি। ট্রিপ পেয়েও ছেড়ে দিয়েছিলাম। এরপরও দুই ট্রিপে ২২ হাজার টাকা ইনকাম করেছিলাম। এবার কোনো গরুর ট্রিপ পাইনি। গতবার পেয়েও নেইনি এবার চেয়েও পাই না।
ট্রাক মালিক রহমান ও মজিবরসহ কয়েকজন জানান, কোরবানির ঈদ ঘিরে ট্রাক মালিক ও চালকদের একটা আশা-ভরসা থাকে। এবার সবার মাথায় হাত।
টাঙ্গাইল ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কোরবান মিয়া বলেন, করোনা আর বন্যার কারণে ট্রাকে গরু নেয়া হয় না। কিছু কিছু ট্রাক ট্রিপ পেলেও অধিকাংশ ট্রাকই পাচ্ছে না গরুর টিপ। করোনার কারণে বছরের শুরু থেকে এবার ব্যবসায় ধস নেমেছে। এরপরও কোরবানির ঈদের গরু পরিবহনের মাধ্যমে কিছুটা উপার্জনের আশায় ছিল ট্রাক মালিক, চালক আর শ্রমিকরা। এবার সেই আশাও মাটি হয়ে গেল।
টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, মহাসড়কে এখনও তেমন গরুবাহী ট্রাক লক্ষ্য করা যায় না। আগামী দিনগুলোতে বাড়তে পারে গরুবাহী ট্রাকের চাপ। বাসের তেমন চাপ নেই। মহাসড়ক ফাঁকা।