• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৭ই জুন, ২০২৩ ইং
Mujib Borsho
Mujib Borsho
পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য দাবী সালথার চাষিদের

মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথায় হালি পেঁয়াজ উত্তোলনে শুরু হয়েছে। তবে পেঁয়াজের ন্যায্যমুল্যে পাচ্ছেন না চাষিরা। গত বছরের চেয়ে এবছর পেয়াজের ফলন কম এবং দামও কম পাচ্ছেন তারা। পেয়াজ উৎপাদণে খরচের চেয়ে বিক্রয় মুল্যে অনেক কম। তাই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন চাষিরা। এবছর উপজেলার ১০ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে পেয়াজের আবাদ হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানান।

জানা যায়, মাঠ ভরা সবুজ ঘেরা শুধু পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাষিরা মাঠে পেঁয়াজ উত্তোলনের কাজ করছেন। আবার কেউ কেউ মাথায় অথবা গাড়িতে করে পেঁয়াজ বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। বাড়ি নেওয়ার পর পেয়াজ কেটে ঘরে তুলছেন মহিলারা। আবার কেউ কেউ পেঁয়াজ বাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন। তবে বাজারে পেঁয়াচের দাম পেয়ে সন্তুষ্ট নন বলে চাষিরা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

উপজেলার ভাওয়াল গ্রামের চাষি নুরইসলাম বলেন, এবার প্রতিমণ পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ হয় ১ হাজার থেকে ১২শ টাকার মতো। আর বর্তমানে বাজারে একমণ পেঁয়াজ বিক্রি করে পাই ৭শ থেকে ৮শ টাকা। এই দামে আমাদের দফা সারা। আমাদের কি হবে আল্লাহু-মাবুদ জানে। সরকারের কাছে একটাই দাবি, কৃষকের জন্য যেটা ভালো হয় সেটা করুক।

সালথা গ্রামের চাষি নকুল মন্ডল আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, এবছর পিঁয়েজ ভালোই আছে, এতে সমস্যা ন্যাই। কিন্তু আমরা পিয়েজের দাম পাইতিছি নে। এক হাজার, ১২শ টাহার উপরে পেঁয়াজের মণে খরচ চলে গেছে। কিন্ত বেচপার গেলে ৭শ-৮শ টাহা পাই। আমরা ক্যামন করে বাঁচবো কৃষকরা ?। আমরা পিয়েজের দাম বাড়ানোর দাবি জানাই।

উপজেলা কৃষি অফিসার জীবাংশু দাস বলেন, সালথা উপজেলায় এবার ১০ হাজার ৯শ ৭০ হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজ ও মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে। ফলন আমাদের মোটামুটি আশানুরুপ। তবে কৃষকরা যাতে ন্যায্যমুল্যে পায় সেজন্য ইতিমধ্যে সরকার বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে না, এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা প্রত্যাশা করছি, কৃষকেরা ন্যায্যমুল্যে পাবেন।

৩০ মার্চ ২০২৩

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

জুন ২০২৩
শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
« মে  
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।