দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের আমেজ চলে এসেছে। শীত মানেই আলাদা বাড়তি যত্নে রাখতে হয় নিজেকে। আর শীতকাল মানেই ঠোঁট ফেটে যাওয়া, ঠোঁটে খসখসে ভাব বজায় থাকে। ফলে হাসতে গেলে ঠোঁটে চাপ পড়ে ও ফেটে গিয়ে রক্ত বের হয়। সবার সামনে প্রাণ খুলে হাসাও যায় না।
তাই যেহেতু শীত নামতে শুরু করেছে এখন থেকেই বিশেষ যত্ন নিতে হবে। যাদের সারা বছরই ঠোঁটের চামড়া শুষ্ক থাকে তাদের তো এ সময় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। ঠোঁটের যত্নে নিয়মিত ভ্যাসলিন ও লিপজেল ব্যবহার করলে ঠোঁট নরম ও কোমল হয়।
এছাড়া, ঘরোয়াভাবে কিছু নিয়ম মেনে চললে ঠোঁটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া কিছু নিয়ম:
১। ঠোঁটের কোমলতা বজায় রাখার জন্য ১ চা চামচ আতপ চালের গুঁড়া, মধু এক চা চামচ, মসুর ডাল বাটা এক চা চামচ, এ চিমটি হলুদের গুঁড়া ও কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে পাঁচ-সাত মিনিট রেখে ভেজা হাতে সার্কেল-এন্টি সার্কেলভাবে দু’মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর ভেজা থাকতেই লিপজেল বেশি পরিমাণে লাগিয়ে দু’মিনিট পর আবার ম্যাসাজ করে মুছে ফেলতে হবে। এরপর লিপস্টিক লাগালে ঠোঁটের কোনো ক্ষতি হবে না। নরম থাকবে ঠোঁট।
২। এক চা চামচ অলিভওয়েল, এক চা চামচ চিনি, আধা চা চামচ বেসন মিশিয়ে জেলের মতো হবে। এটা ঠোঁটে রাখলে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে আসবে। এরপর ভেজা হাতে ম্যাসাজ করে প্যাকটি উঠিয়ে ফেলতে হবে। এতে মরা কোষ উঠে গিয়ে ঠোঁটের কোমলতা বজায় থাকবে।
৩। অনেকেই দিনেরবেলায় লিপস্টিক ছাড়া থাকতেই পারে না। তারা যদি নিয়মিত লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপজেল দিয়ে ম্যাসাজ করে নিয়ে মুছে ফেলে লিপস্টিক লাগান তাহলে ভালো উপকার পাবেন। এতে করে ঠোঁট কালো হবে না।
৪। শীতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজযুক্ত লিপস্টিক ব্যবহার করবেন।
৫। রাতে অবশ্যই ঘুমানোর আগে লিপজেল লাগানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৬। এখন থেকে বেশি শীত পড়ার আগে ঠোঁটের যত্ন নিলে ঠোঁটের ক্ষতি কম হবে।
৭। বাজারে এখন শীতকালীন সবজি ও ফলমূল পাওয়া যাচ্ছে। এসব সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৮। এ সময়ে পানি কম খাওয়ার কারণে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়। তাই নিয়মিত পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। একটু যত্ন নিলে সারা শীতে ঠোঁট ফাটার ভয় আর থাকবে না।