• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
ফরিদপুরে যত্র-তত্র প্লাষ্টিকের ব্যবহার

বিজয় পোদ্দার, ফরিদপুর: প্লাষ্টিক বর্জ্য দূষণ করছে পরিবেশ ও মানব দেহকে। শহরের সর্বত্র প্লাষ্টিকের ব্যবহার বেড়েছে। বাজার, শপিং মল থেকে শুরু করে সবখানেই এখন প্লাষ্টিকের ব্যাগ, প্যাকেট রমরমা ভাবে চলছে। মাছের বাজারগুলোতে পর্যন্ত প্লাষ্টিকের ব্যাগ চলছে। সাম্প্রতিক কিছুদিন পূর্বে প্লাষ্টিক দূষণ কমাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ আইন প্রয়োগ করে ভ্রাম্যমান জরিমানার মাধ্যমে প্লাষ্টিক ব্যবহারের প্রবণতা কমিয়ে আনলেও তা আবার বেড়েছে।

ফরিদপুর পৌরসভার সড়ক, সংযোগ সড়কগুলোর আশপাশের ময়লা, আবর্জনাগুলোতে তাকালেই দেখা যায় বেশীর ভাগই প্লাষ্টিক বর্জ্য। সাধারণ মানুষ জানে কি? এই দূষণের ভয়াবহতা কি? দ্য গার্ডিয়ান সূত্রে জানা গেছে, গবেষকরা বলেছেন প্রত্যেক মায়ের নাড়ির মাত্র ৪ শতাংশ পরীক্ষা করা হয়েছে এতে অন্তত ১২টি প্লাষ্টিক কণা পাওয়া গেছে।

আরও বেশী পরীক্ষা চালালে এর পরিমাণ অনেক বেড়ে যেতে পারে। এই প্লাষ্টিক কণাগুলো শরীরে প্রবেশ করেছে। প্লাষ্টিকের প্যাকেট, রং, প্রসাধনী ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত প্লাষ্টিক পণ্যের মাধ্যমে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্লাষ্টিক দূষণ এখন পৃথিবীতে বড় সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। নানা প্রক্রিয়ায় মানুষের শরীরে অতি ক্ষুদ্র প্লাষ্টিক কণা প্রবেশ করছে।

এই প্রথম জানা গেল মায়ের গর্ভের শিশুর দেহেও প্লাষ্টিক কণা ছড়ায়। প্রতিদিন লাখ, লাখ টন প্লাষ্টিক বর্জ্য পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এগুলো মিশছে পানিতেও। এতে পানিও দূষিত হয়ে পড়ছে। তাই শুধু মানুষই নয় জলজ প্রাণীও প্লাষ্টিক দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে। খাবার ও শ্বাস, প্রশ্বাসের সঙ্গে প্লাষ্টিক কণা শরীরে প্রবেশ করে। এগুলো নানা রাসায়নিক উপাদান বহন করে এবং তা রক্তকনিকার সঙ্গে মিশে গিয়ে নানা ক্ষতি সাধন করে। রাসায়নিক উপাদানগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নাালে প্রকাশিত গবেষণা পত্রের বলা হয়েছে অন্তত ৪জন নারীর দেহে প্লাষ্টিক কণার সন্ধান পাওয়া গেছে। যারা স্বাভাবিক ভাবেই গর্ভধারণ করেন এবং বাচ্চা প্রসব করেন। ভ্রুণ ও মায়ের নারীর সঙ্গে এবং শিশুর শরীর গঠনের অবস্থাতেও প্লাষ্টিক কণা সনাক্ত হয়েছে।

প্লাষ্টিকের দূষণের মাত্রা বর্তমান এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে তা এখনই রোধ করা না গেলে বিশিষ্টজনরা মনে করেন এর ভয়াবহতা আমাদেরকে দীর্ঘকাল ভোগাবে। ফরিদপুরের প্লাষ্টিক বর্জ্য দূষণের মাত্রা রোধকল্পে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে নাগরিক সমাজ। অনেকের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ফরিদপুরের হাট-বাজার থেকে শুরু করে বেকারী, ফুড এবং যাবতীয় ফাস্টফুড পর্যন্ত প্লাষ্টিক প্যাকেটে মোড়ানো। মাছ, তরি, তরকারি থেকে শুরু করে মুদি খানার বিভিন্ন ক্রয়-বিক্রয়ে প্লাষ্টিকের প্যাকেট ও ব্যাগ ব্যবহার যেভাবে আবার বেড়েছে তা উদ্বেগের বিষয়। বাসা-বাড়ীতে চলে যাওয়া এই সব প্লাষ্টিক যেখানে সেখানে বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়।

সেই বর্জ্য পরিবেশ দূষণ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট এলাকার নদী, খাল, জলাশয়গুলো পর্যন্ত প্লাষ্টিক দূষণের শিকার হচ্ছে। হাজারো চায়ের দোকান ও খাবারের হোটেল গুলোতে প্লাষ্টিকের ব্যাগে প্যাকে রাখা খাদ্যের মাধ্যমে প্লাষ্টিকের ক্ষুদ্র কণাগুলো মানবদেহে প্রবেশ করে ক্ষতি করছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।