• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
মধুখালীতে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

ছবি প্রতিকী

মধুখালী (ফরিদপুর) সংবাদদাতা :  মধুখালীতে রবি মৌসুমে সরকারি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যের বীজ ও সার বিতরণে মারাত্মক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত কৃষকরা সরকার প্রদত্ত বিনামূল্যের বীজ ও সার পাননি।

ইতিমধ্যে মধুখালী থানা পুলিশ বিনামূল্যে বিতরণের ১৩ বস্তা সারসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। আটক ওই ব্যক্তির নাম মিরাজ মন্ডল। তার বাড়ি উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে।

জানাগেছে, মধুখালী উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে ২০২০-২১ রবি মৌসুমে সরকারি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যের বিভিন্ন ধরনের বীজ ও সার বিতরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়।

প্রত্যেক কৃষককে ২০কেজি ডিএপি ও ১০কেজি এমওপি সার ও পরিমাণ মত বিভিন্ন ধরনের বীজ প্রদান করা হয়। কিন্তু প্রকৃত কৃষকরা সরকার প্রদত্ত বিনামূল্যের বীজ ও সার সঠিক ভাবে পাননি। সোমবার সরেজমিনে উপজেলার আড়াপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের রাজধরপুর গ্রামের মোট ২০ জন চাষির খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এদের মধ্যে অধিকাংশই অকৃষক।

একই পরিবারের স্বামী স্ত্রী আপন ভাই, ভাই এর ছেলের স্ত্রী এবং চাচাতো ভাই ৪ জন রয়েছেন। রাজধরপুর গ্রামের মজিদ মোল্লার পুত্র রতন মোল্লা, তৌহিদি মোল্লা, কুদ্দুস মোল্লা, একই গ্রামের ছামাদ মোল্লার দুই ছেলে রইজুর রহমান, হান্নান মোল্লা, হান্নান মোল্লার পুত্র মতিয়ার রহমান এবং মতিয়ারের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের প্রত্যেকের নামে ৭’শ ৫০ গ্রাম পেঁয়াজ বীজ, ২০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে এমপিও সার প্রদান করা হয়েছে।

সার ও বীজ বরাদ্দ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মুদি দোকানদার, ব্যাংক কর্মচারী, সরকারি কর্মচারীও রয়েছে।

আড়পাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ সভাপতি ও রাজধরপুর গ্রামের বাসিন্দা অফিলদ্দিন ওরফে রবি এই প্রতিনিধিকে জানান, সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ প্রাপ্ত ৩/৪ জন বাদে বাকি ব্যক্তিরা কৃষক নন এবং প্রায় ১৪/১৫ জনই একই পরিবারের লোকজন। ৭০ বছরের অফিলদ্দিন রবি ক্ষোভের সাথে বলেন,  প্রকৃত চাষিরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার এর তালিকায় নাম আসেনি।

এবিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রহলাদ রায়‘র নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, সার বীজ বিতরণে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারা যে তালিকা দেন সে অনুযায়ী বিতরণ হয়। এখানে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই।

আড়পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন মোল্যা বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের বরাদ্ধ অনুযায়ী স্থানীয় উপ-সহকারি কর্মকর্তা (ভিএস) এবং চেয়ারম্যান ও মেম্বর যৌথভাবে তালিকা করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিস সে মোতাবেক মালামাল বিতরণ করেন। এখানে আমাদের অন্য কোন ভূমিকা নেই।

উপজেলা কৃষি অফিসার অলিভির রহমান বলেন, সরকারি প্রণোদনার এই মালামাল বিএডিসি আমাদের সরবরাহ করেন। আমরা শুধু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেম্বরদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বিতরণ করেছি।

এ ব্যাপারে একটি কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা প্রহলাদ রায় বাদী হয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। আসামী জেল হাজতে আছে। পুলিশের তদন্তে মুল হোতা বেরিয়ে আসবে। পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।