মোঃ রমজান সিকদার ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি-৩০/৬/২০২৪
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের উত্যক্ত ও নিরাপত্তা কর্মীকে মারধর করেছে এক বখাটে ছাত্র ও তার অবিভাবক। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মিছিল করে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শিক্ষক ও অভিভাবক মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে বিদ্যালয়ের সামনে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বখাটে ঐ ছাত্র উক্ত স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র ও পাশ্ববর্তী রাজৈর উপজেলার চাদপুট্টি গ্রামের শিপলু মাতুব্বরের ছেলে রিমন মাতুব্বর(১৪)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আছমা আক্তারী বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে ৯ঃ৩০টার সময় বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ৯ম শ্রেণির ছাত্র রিমন মাতুব্বর ক্লাসে না এসে ছাত্রীদের উত্তেজিত করতে থাকে। তখন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মামুন অর রশিদ উত্যক্তকারীকে ধমক দিয়ে ক্লাসরুমে যেতে বলেন। ঐ ছাত্র স্যারের কথা না শুনে উল্টো স্কুলের নিরাপত্তা কর্মীকে ও স্যারকে হুমকি দিয়ে বাড়ি চলে যায়। ছাত্রটি বাড়ি গিয়ে তার বাবা শিপলু মাতুব্বর(৪৫) সহ বিদ্যালয়ের সামনে এসে নিরাপত্তা কর্মী রতন মালাকারকে মারধর করে এবং শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দিতে থাকে। বিষয়টি পরে বিদ্যালয়ের সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সকলেই মিলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ করেন। এসময় এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আটক করার জোর দাবী জানান হয়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক (ভারপ্রাপ্ত)
আছমা আক্তারী বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র রিমন সে ঠিকমত ক্লাসে আসতো না। সকালে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ঢুকে ছাত্রীদের উত্যক্ত করেছিল । পরে আমার এক সহকারী শিক্ষক তাকে ধমক দিয়ে ছাত্রকে স্কুলের বাউন্ডারি থেকে বের করে দেয়। এর
আধা ঘণ্টা পর রিমন তার বাবা নিয়ে এসে আমার এক নিরাপত্তা কর্মী রতন মালাকারকে মারধর করেছে । আমি ভাঙ্গা থানায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিয়েছি। ওই বখাটে ছাত্রকে বিদ্যালয় থেকে টিসি দিয়েছি।
এঘটনায় বিদ্যালয়ের সভাপতি লিটন মাতুব্বর বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে ঘটনাটি মোবাইলে জানায়। সাথে সাথে আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জরুরী মিটিং করি। অভিযুক্ত ছাত্রকে বহিষ্কার করেছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কুদরত-এ-খোদা বলেন, আমি বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।