কবির হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন মো.মোজাহিদুল ইসলাম। তিনি আলফাডাঙ্গা আরিফুজ্জামান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ তাঁকে মাধ্যমিক পর্যায়ে ফরিদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করেন।
জানা গেছে, ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মরহুম আব্দুস সাত্তার মিয়া ছেলে মো.মোজাহিদুল ইসলাম।
তিনি তার ৭ ভাই-বোনের মধ্যে ছোট। প্রতিভাবান অদম্য মেধাবী শিক্ষক মো.মোজাহিদুল ইসলাম ১৯৯৯ইং সালে বোয়ালমারী জজ একাডেমী থেকে কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে এসএসসি, ২০০১ সালে আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে এইচএসসি,২০০৯ সালে পিপলস ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ থেকে অনার্স (ইংলিশ) প্রথম বিভাগে ও একই ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১১ সালে প্রথম বিভাগে মাস্টার্স এবং ২০১৬ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে বি. এড সম্পন্ন করেন।
তিনি তাঁর পেশাগত দায়িত্ব যথারীতি সুনামের সাথে পালন করায় অল্পদিনের মধ্যে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় শিক্ষা প্রশাসনের মাঝে তাঁর সুখ্যাতি ও বিপুল জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে।শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষকতার পাশপাশি তিনি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি কাজের সাথে জড়িত।
মো.মোজাহিদুল ইসলামের সাফল্যে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও তার সহকর্মীগণ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক মো.মোজাহিদুল ইসলাম
বলেন, আমার পিতার স্বপ্ন ছিল যেন আমি শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হই। আমি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি কো-কারিকুলামের ওপর গুরুত্ব আরোপ করি, যা তাদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতো মনে করি। তাদের ঝরে পড়া রোধ, পড়াশোনায় মনোযোগী করা, সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধকরণ, নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষাসহ নানাবিধ কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করি। শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ও সুস্থ থেকে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারেন এজন্য সকলের দোয়া কামনা করেন।
অত্র বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আজাদুল ইসলাম অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তিনি উপজেলাবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তাকে অনুসরণ করে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সব শিক্ষক আরও ভালো করবেন সেই প্রত্যাশা করছি।