সারা দেশের ন্যায় বিকল হয়ে পড়েছে শেয়ারবাজারও। ফলে বিনয়োগকারীরা হারিয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার ফলে বিনিয়োগকারীরা এ অর্থ হারিয়েছেন।
বিশেষ প্রক্রিয়া শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে নতুন সার্কিট ব্রেকার চালু করা না হলে বিনিয়োগকারীদের এ ক্ষতির পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
করোনার প্রভাবে দেশের শেয়ারর মার্কেটে প্রথম ধাক্কাটা লাগে ৯ মার্চে। যদিও মার্চের শুরু থেকেই নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায় বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে।
জানা যায়, করোনার প্রকোপে মার্চ মাসে লেনদেন হওয়া ১৮ কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীরা ৩০ হাজার কোটি টাকার ওপরে হারিয়েছেন। অবশ্য ডিএসইর নতুন সার্কিট ব্রেকারের কারণে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমেছে বলে দাবি করছেন ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান।
সার্কিট ব্রেকারের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে এমনটা বলে ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান জানান, বিনিয়োগকারী যখন দিশেহারা সেই মুহূর্তে সার্কিট ব্রেকারের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস ঠিক করে দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ একটি শেয়ারের দাম নির্দিষ্ট দামের নিচে নামতে পারবে না। এর মাধ্যমে বাজারে শেয়ারের দাম ফ্রি-ফল বন্ধ হয়েছে এবং লাখো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী স্বস্তিতে আছেন।
নতুন করে সার্কিট ব্রেকারে পরিবর্তন এনে পতন ঠেকানো গেলেও শেয়ারবাজারে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা।
মার্চ মাসের ১৮ কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মাত্র ৬ হাজার ৬৪৫ কোটি ৬৮ লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৪ টাকা। এতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৬৯ কোটি ২০ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬ টাকা।
অথচ, আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে ২০ কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১২ হাজার ৪২৭ কোটি ৭৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৭ টাকা। এতে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬২১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৭ টাকা।
সুতরাং, ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চের কার্যদিবসে লেনদেন টাকার পরিমানে অর্ধেক।