• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
ফরিদপুরে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী(সাঃ) উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আলোচনা ও দোয়া মাহফিল

ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন ১২ রবিউল আউয়াল। সৌদি আরবের মক্কা নগরে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে ঐতিহ্যবাহী কুরাইশ বংশে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। বাংলাদেশে দিনটি পবিত্র ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী (সাঃ) নামে পরিচিত।

ফরিদপুরে পবিত্র ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী (সাঃ) ১৪৪২ হিজরী উদযাপন উপলক্ষে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ)এর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শনিবার সকাল ১০.৩০ টায় এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মোঃ আকরামুল হক এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঝর্ণা হাসান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশার্রফ আলী। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জীবন ও কর্ম বিষয়ে আলোচনা করেন শেখ ফরিদ দরগাহ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও বাকীগঞ্জ ইসলামীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রোকসানা রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাইফুল কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হজরত আলী প্রমুখ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মোঃ আকরামুল হক।

সভায় বক্তারা বলেন, ১২ রবিউল আউয়ালকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন মহান আল্লাহ।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নবুয়ত প্রাপ্তির আগেই ‘আল-আমিন’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর এই খ্যাতি ছিল ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও সত্যবাদিতার ফল। তাঁর মধ্যে সম্মিলন ঘটেছিল সমুদয় মানবীয় সৎগুণের: ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, শান্তিবাদিতা। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি কর্মময়তাও ছিল তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা ছিল তাঁর ব্রত। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির মানুষ হিসেবে তিনি সর্ব কালে, সব দেশেই স্বীকৃত।

জেলা প্রশাসক বলেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।

আলোচকগণ মহানবীর জীবনাদর্শ মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। আলোচনা সভা শেষে দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।