আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে মো. শাহেদ শেখ (১৭) নামে স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গত ৩০ জানুয়ারি রবিবার রাত ১১টায় শাহেদ শেখ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান।
নিহত শাহেদ উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের রায়ের পানাইল গ্রামের সৌদি প্রবাসী শেখ সাদির ছেলে। সে আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদরের অনির্বাণ প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, একই এলাকার স্কুল পড়ুয়া একটি মেয়ের সঙ্গে শাহেদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কয়েকদিন আগে ওই মেয়ের চাচাত ভাই লাদেন শেখ বিষয়টি নিয়ে শাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়।
পরে রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে লাদেন শেখ প্রতিশোধ নিতে ইব্রাহিমসহ আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে শাহেদের বাড়ির সামনে শাহেদকে একা পেয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা বাঁশের লাঠি দিয়ে শাহেদের মাথায় আঘাত করে। এতেই শাহেদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
হামলার সময় শাহেদের স্বজনেরা চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পরে শাহেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শাহেদ শেখের মৃত্যু হয়।
এদিকে এ ঘটনায় শাহেদের পরিবারের পক্ষ থেকে রবিবার রাতেই একটি হত্যা মামলা করা হয়। পুলিশ রাতেই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত লাদেন শেখ ও ইব্রাহিম শেখকে গ্রেপ্তার করে।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। পরে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত বাকিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।