জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথেই তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে পরিচালনা করছেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, এমপি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সব দিকেই দক্ষ একজন রাষ্ট্রনায়ক। যারা আমাদের তলাবিহীন ঝুড়ি বলে উপহাস করতো, তাদের দেশ থেকেই বঙ্গবন্ধু কন্যা স্যাটেলইট উৎক্ষেপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
শনিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র সেমিনার কক্ষে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ছাত্রলীগ এলামনাই এসোসিয়েশন (ডুয়েকা)’র উদ্যোগে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডুয়েকা সভাপতি ও বিটিআরসি’র মহাপরিচালক (অবঃ) ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শহীদুজ্জামান মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. রুহুল আমিন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার এম. হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুজ্জামান, আইইবি’র সম্মানী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু) পিইঞ্জ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদন করেন, ডুয়েকার মুজিব শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহবায়ক এবং টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল হায়দার চৌধুরী।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা বিশ্বের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তাঁর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলই এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠান করেছিলেন। পরবর্তীতে ছাত্রলীগই স্বাধীনতা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। পৃথিবীতে একমাত্র নেতা শেখ মুজিব যিনি একাধারে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের জনগণকে ঔক্যবদ্ধ করেছেন এবং স্বাধীনতা অর্জন করেছেন।
আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্ব সভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক দিকে শোষক আর এক দিকে শোষিত, আমি শোষিতের পক্ষে। বিশ্বকে তিনি কমান্ড করেছিলেন তিনি কোন পক্ষের। বিশ্ব সভায় তিনি বাংলাদেশের নেতা হিসেবে কথা বলেননি, বিশ্বনেতা হিসেবে কথা বলেছেন।
তিনি বলেছিলেন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে এই পয়সা দিয়ে দারিদ্র বিমোচনের জন্য, শিক্ষার, স্বাস্থ্যের জন্য খরচ করতে বলেছিলেন। জাতিসংঘে দাঁঁড়িয়ে তিনি উপদেশ দিতেন, বিশ্বের নীতি কী হওয়া উচিত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, জাতির পিতা আমাদের এই দেশ উপহার দিয়ে গিয়েছেন। তিনি না থাকলে আমরা আজও স্বাধীন হতাম না। আর তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ তাঁরই দেখানো পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা হাত ধরে ২০৪১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশ উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়াবে।