• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
রাজশাহীতে সংক্রমণ বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা নেই

মোঃ আলাউদ্দিন মন্ডল রাজশাহী :-রাজশাহী বিভাগেও আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি হিসেবে স্বাস্থ্য বিভাগ দেশের যে ২৯টি জেলাকে চিহ্নিত করেছে তার মধ্যে রাজশাহী জেলাও আছে। বিভাগে করোনার হটস্পট বগুড়াও আছে এই তালিকায়। এছাড়া বিভাগের নওগাঁকেও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এদিকে গেল কয়েকদিন ধরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। তাই হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য বাড়ানো হয়েছে আরও দুটি ওয়ার্ড। গত সোমবার হাসপাতালের ২৫ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড দুটিকে করোনা ওয়ার্ড হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

করোনার সংক্রমণের প্রথম দিকেও এই ওয়ার্ড দুটিতে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা হতো। তারপর সংক্রমণ কমে এলে ওয়ার্ড দুটিতে অন্য রোগীদের চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। এখন আবার সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়লে ওয়ার্ড দুটিও বাড়ানো হলো।

রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, করোনার প্রথম দিকে এ দুটি ওয়ার্ড ছাড়াও হাসপাতালের ২৯, ৩০, ৩৯, ৪০, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), কেবিনের ২২টি শয্যা, খ্রিষ্টিয়ান মিশন হাসপাতাল, এবং সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলত। পরে ২৫ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং মিশন হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা বন্ধ করা হয়। এখন আবার হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বেড়েছে। তাই ২৫ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড করোনা রোগীদের জন্য নির্র্ধারণ করা হলো।
তিনি আরও জানান, রাজশাহীতে করোনা শনাক্তের পর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা সর্বনিম্ন চারজনে নেমেছিল।

এখন রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই আবার বাড়ছে। মঙ্গলবার হাসপাতালে ২৯ জন করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন। এছাড়া করোনার লক্ষণ নিয়ে ছিলেন আরও ৩৬ জন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি ছিলেন ১০ জন করোনা রোগী।এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাতে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক চিকিৎসকসহ দুইজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বৃহৎ এই হাসপাতালে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে। তাই হাসপাতালটির প্রস্তুতিও রাখতে হয় বেশি।এদিকে গতকাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার বিভাগে এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি বগুড়া জেলায়।

আগের দিন রোববার এই জেলায় পাঁচজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। সোমবার বিভাগে নতুন ৭৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বিভাগে এ পর্যন্ত মোট ২৬ হাজার ৬৭৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ৪০৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৪ হাজার ৭৪১ জন।
এদিকে বিভাগে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও মানুষের সচেতনতা কমে গেছে। মাস্ক ছাড়াই হাটে-বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মানুষ। হাত ধোয়ার অভ্যাসও কমে গেছে। করোনার প্রথম দিকে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসহ সড়কের ধারে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হলেও সেগুলো এখন অকেজো। এমন পরিস্থিতিতে আবারও মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।রাজশাহী জেলার সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, মানুষের মাঝে সচেতনতা কমে গেছে।

এ রকম হলে সংক্রমণ বাড়বেই। টিকা আসার পর মানুষ মনে করছেন, সংক্রমণ কমবে। কিন্তু এখনও সবাই তো টিকা নেননি। তাই বেপরোয়া চলাচলে সংক্রমণ বাড়ছে। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আবারও অভিযান প্রয়োজন বলে মনে করেন সিভিল সার্জন।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে আমরা অভিযান চালিয়েছি। মাস্ক বিতরণ করেছি। দু’একদিনের মধ্যে আবারও অভিযান শুরু হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।