রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ২০০১ সালে স্থাপিত। ২০০৪ সালে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় কলেজের পার্শ্ববর্তী আব্দুল গনি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন এবং নিয়মিত ক্লাস নিতে থাকেন। কিন্তু কলেজ দীর্ঘদিন পর ২০১৯ সালে এমপিও ভুক্ত হয়। এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর ২০০৪ সালের সার্কুলেশনে হঠাৎ করে আব্দুল গনির নামের জায়গায় কাগজ পত্র পরির্বতন করে কলেজের খাতায় ঘষামাজা করে নজরুল ইসলাম এর নাম দেওয়া হয় এবং সাবেক অধ্যাপক মাইনুল ইসলাম এর সহযোগীতায় প্রশাসন কে ম্যানেজ করে নজরুল ইসলাম কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছেন বর্তমান কলেজ কৃর্তপক্ষ।
নিয়োগ প্রাপ্ত পূর্বের সেই শিক্ষক আব্দুল গণি বলেন, আমি অন্য একটি স্কুলে চাকরী করি বাড়ির পাশে কলেজ হচ্ছে তাই কলেজে চাকরি করার ইচ্ছায় আমি কলেজ করার সময় বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করি এবং তখন কার অধ্যাপক মাইনুল ইসলাম এর কথায় বিভিন্ন সময় কলেজে ক্লাস নিতাম। নজরুল ইসলাম নিয়োগ বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এই বিষয়ে সব কিছু মাইনুল ইসলাম স্যার করেছেন আমি কিছু বলতে পারবো না।
এই বিষয়ে সাবেক অধ্যাপক মাইনুল ইসলাম কে মুঠোফোনে ফোন দিয়ে নজরুল ইসলাম এর হঠাৎ নিয়োগ এর বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তাকে প্রক্রিয়া মেনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অবৈধ হলে প্রশাসন বিষয়টি দেখতো, যারা এগুলো অভিযোগ তুলছে তারা আমার ক্ষতি করতে চাই, তিনি আরো বলেন, ফোনে এত কিছু বলা যাবে না আমার সময় হলে আমি আপনাকে ডেকে কথা বলবো আমি অনেক ব্যস্ত মানুষ বলে এক প্রকার এড়িয়ে যান তিনি।
অভিযোগকারী বর্তমান মনিগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমান জানান, মাইনুল সাহেব যখন এই কলেজের অধ্যাপক ছিলেন ২০০৪ সালের সার্কুলারে ২০২০ সালে কাগজ পত্র কাটা ছেড়া করে নজরুল ইসলামকে নিয়োগ দিয়েছে। আমি মনে করি সে সম্পূন অবৈধ ভাবে বর্তমান সভাপতি কে দিয়ে মাইনুল সাহেবের কাগজ পত্র স্বাক্ষর করান এতে আমি বাধাও দেই কিন্তু তারা আমার কোন বাধাই মানেনি। যাকে ২০০৪ থেকে আজ পর্যন্ত আমি আমার কলেজের কেউ দেখলো না কলেজে তিনি কিভাবে হঠাৎ নিয়োগ পেলেন তাও আবার ২০০৪ সালে সার্কুলারে মাইনুল সাহেব অর্থের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানের সাথে জালিয়াতি করছেন বলে দাবি করেন তিনি এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জানান।
অবিভাবক কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এর আগে আমরা কখনো নজরুল ইসলামকে এই প্রতিষ্ঠানে দেখিনি কলেজে কিছু ঘটলে মিটিং ডাকা হয়ে থাকে আমার সন্দেহ হলে আমি প্রতিষ্ঠানে বলে কিছু কাগজ পত্র দেখি সেখানে আব্দুল গনির নামের সব জায়গায় বেøট জাতীয় কিছু দিয়ে ঘষামাজা করা এবং নজরুল ইসলামের নাম। এধরনের ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করছি
এদিকে প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত অন্য এক সদস্য বলেন মাইনুল সাহেব কলেজের সাথে জালিয়াতি করছেন যাকে আমরা কোন দিন দেখলাম না ছাত্র ছাত্রী যাকে চিনে না হঠাৎ রাতারাতি একজন শিক্ষক নিয়োগ পেলো তাও আবার ২০০৪ সালে এটা কি ভাবে সম্ভব এর সুষ্ঠু বিচার চাই আমরা।
অভিযোগে আরো জানা যায়, মাইনুল ইসলাম ভিন্ন ভিন্ন দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন এক সাথে। এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন উঠলে মনিগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের পিন্সিপাল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয় তাকে আর সেই সাথে অদৃশ্য শক্তির বলে থেকে গেছেন বাঘা উপজেলার শাহ্ দৌল্লা কলেজের মনোবিঙ্গান এর প্রভাষক হিসেবে। মনিগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে থেকে গেছে মাইনুল ইসলামের নামে নিয়ম বহিরভূত ভাবে নিয়োগ বানিজ্যের অনেক বিস্তর অভিযোগ। এবিষয়ে বছর কয়েক আগে একটি অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগ বিষয়ে নজরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, আমি এনজিও তে চাকরি করতাম ২০০৪ সালে কলেজে নিয়মনীতি মেনে আমার চাকরি হয়েছে,নতুন করে এবিষয়ে ঘাটাঘাটি করে লাভ নেই। অহেতুক সাংবাদিকরা আমাকে আর ফোন দিবেন না।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, আমি ওই কলেজের সভাপতি আমার সময়ে কোন নিয়োগ হয়নি তবে কলেজে কোন অনিয়ম হলে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।