মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথা থানার এক মামলায় লিবিয়ায় মানবপাচার চক্রের সক্রিয় এক সদস্য এনামুল হক গাজী (৪২) কে আটক করেছে সালথা থানা পুলিশ। সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সহ একটি পুলিশ টিম মঙ্গলবার (২জুন) ভোর রাতে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের গোয়ালা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আটককৃত এনামুল ওই ইউনিয়নের মুনিরকান্দী গ্রামের মোঃ হোসেন গাজীর পুত্র।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, সালথা থানার বল্লভদি ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের কবির শেখের ছেলে কামরুল শেখ লিবিয়ার মিজদা শহরে মানবপাচারকারীদের গুলিতে নিহত হন বলে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায়।
এঘটনায় নিহতের বাবা কবির শেখ বাদী হয়ে সোমবার ৬জনের বিরুদ্ধে সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পর মঙ্গলবার ভোররাতে মানবপাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য আসামী এনামুলকে গোয়ালা বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে আসামী এনামুল হক মামলার অন্যান্য আসামীদের সাথে পরস্পর যোগসাযসে নিহত কামরুল শেখকে অবৈধ পথে লিবিয়া পাঠানোর জন্য বাদীর কাছ থেকে টাকা গ্রহনের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও আসামীগন আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বিভিন্ন এলাকার যুবককে প্রলোভন দিয়ে লিবিয়া পাঠিয়েছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জামাল পাশা বলেন, আমরা জানতে পারি যে, গত ২৮ মে লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের গুলিতে ২৬জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। গুরুত্বর আহত হয়েছেন ১১ জন বাংলাদেশী। নিহত ২৬ জনের মধ্যে একজনের বাড়ি সালথা উপজেলার বল্লভদি ইউনিয়নে। সে যে মানবপাচারকারী বাহীনির স্বীকার হয়ে লিবিয়ায় পাচার হয়েছিলো এই মর্মে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে সালথা থানায় মামলা করেন। এই ৬জন আসামীর মধ্যে অন্যতম এনামুল হক।
তাকে মঙ্গলবার ভোর রাতে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গোয়ালা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আশা করছি অচিরেই, অন্য আসামী যারা এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবো।
২ জুন ২০২০