র্যাব-৮, সিপিসি-১ (পটুয়াখালী ক্যাম্প) এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,মোঃ রইছ উদ্দিন এর নেতৃত্বে অদ্য ০১/০৫/২০২০ ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ০৬.০০ ঘটিকার সময় বরগুনা জেলার সদর থানাধীন দক্ষিণ বালিয়াতলি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তালতলী থানার গনধর্ষন মামলার এজাহার নামীয় অন্যতম পলাতক আসামী মোঃ জহুরুল আকন (২৮), পিতা- আলমগীর আকন, সাং-তেতুলবাড়িয়া, থানা- তালতলী, জেলা- বরগুনাকে আটক করে। উল্লেখ্য, ‘‘বরগুনায় ৭ বছরের কন্যা সন্তানকে গাছের সাথে বেধে মেয়েকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মাকে গনধর্ষণ’’ শীর্ষক সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে, র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায় যে, গত ২৩ এপ্রিল ২০২০ ইং জনৈক গৃহবধু তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে শ্বগুরবাড়ি পিরোজপুর জেলাধীন মঠবাড়িয়া উপজেলার শাপলেজা গ্রাম থেকে পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর গ্রামে খালাবাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শ্বশুর বাড়ি থেকে পাথরঘাটা খেয়া পাড় হয়ে তালতলী শুভসন্ধ্যা ঘাটে পৌছায়। সেখান থেকে ভাড়ায় চলিত মোটরসাইকেলে নিশান বাড়িয়া খেয়াঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা করে। মোটরসাইকেল ড্রাইভার অভিযুক্ত জহুরুল আকন তাদেরকে নিয়ে নির্জন জঙ্গলে দিকে যায়। সেখানে নিয়ে এলাকার ৪/৫ জন বখাটে মিলে সন্তানকে গাছের সাথে বেঁধে রেখে মাকে গনধর্ষন করে। এ সংক্রান্তে ভিকটিম গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে গত ১লা মে ২০২০ ইং তারিখে তালতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি অত্যন্ত চাঞ্চলকর হওয়ায় র্যাব অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত মামলার অন্যতম আসামী ও মোটরসাইকেল চালক মোঃ জহুরুল আকনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আটকতৃত আসামীকে তালতলী থানায় হস্তান্তর করা হয়। অভিযুক্ত অপর আসামীদের গ্রেফতারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।