ফরিদপুরের সালথার সুদক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ হাসিব সরকারের কাজের সুফল ভোগ করছে উপজেলাবাসী। তিনি যোগাদানের পর থেকেই জনগনের সেবা করে উপজেলা বাসির মন জয় করেছেন। সরকারি নির্দেশনা পালন করতে কাজ করেন দিন-রাত। কাজ করেই যেন আনন্দ পান তিনি।
চলমান করোনা মহামারীতে ব্যাস্ত সময় অতিবাহিত করছেন তিনি। দীর্ঘ কয়েক মাস যাবৎ করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে নিজে জীবনের ঝুকি নিয়ে করোনা রোগীর কাছে হাজির হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হাসিব সরকার। করোনার কারনে লগডাউনে থাকা উপজেলার সকল রোগীর বাড়ীতে ত্রান পৌছে দেওয়ার তদারকিও করেছেন তিনি নিয়মিত। খোজ খবর রাখছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে সারাক্ষন, যেখানেই যখন খবর পাচ্ছেন করোনা রোগির, সেখানেই তিনি ও সালথা থানার ওসি মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ্ হাজির হচ্ছেন সেখানে। দিচ্ছেন সরকারী ত্রান ও চিকিৎসা। এছারা নিয়মিত তদারকি করছেন বাজার মনিটরিং।পরিচালনা করছেন ভ্রাম্যমান আদালতও। ইতি মধ্যে উচ্চ পর্যায় হতে কাজের প্রশাংসাও পেয়েছেন। কোন অসহায় গরীব লোক তার কাছে এলে তিনি স্বাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতাও করছেন। ইতি মধ্যে উপজেলায় সকল জনগনের কাছে সৎ যোগ্য অফিসার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছেও গ্রহন যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী মোহাম্মদ হাসিব সরকার এপ্রতিনিধিকে বলেন, সরকার আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন এই এলাকার জনগনের সেবা করার জন্য। আমি শুধুই সরকারী নিয়মনুযায়ী জনগনের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি আর এটাই আমার দ্বায়িত্ব। চেষ্টা করবো জনগনের জন্য ভালো কিছু করার এলাকার মানুষের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়াই আমার লক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউএনওর কক্ষ হতে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ লোককে বেড়িয়ে আসতে দেখে তার কাছে ছুটে গেলাম। জানতে চাইলাম চাচা ইউএনও অফিসে আসছেন কেন। উত্তরে তিনি বল্লেন, বাবা আমি বৃদ্ধ মানুষ আমার বাড়ি যদুনন্দী ইউনিয়নে উপজেলার শেষ মাথায় একটা কাজ নিয়ে অনেক জায়গায় গিয়েছি অনেক দিন ধরে দৌড়ঝাপ করছি কেও সহযোগিতা করেনি। এই ইউএনও অনেক ভালো মানুষ আমার কাজ করে দিছে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ তারে আরো অনেক বড় অফিসার বানাক।
সালথা উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল বলেন, আমার দেখা সেরা ইউএনও তিনি। তার আচার-আচরণে মুগ্ধ উপজেলা বাসি আমি তার সর্বাঙ্গীণ ভাবে মঙ্গল কামনা করি। তার কাজের সুফল ভোগ করছে এলাকাবাসী।
উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শওকত হোসেন মুকুল বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ হাসিব সরকার অল্পদিনে উপজেলা বাসির মনে জায়গা করে নিয়েছেন। বিশেষ করে করোনা কালিন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে ত্রান বিতরন করেছেন সেটা উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও তার প্রতিটি কাজ প্রশংসার দাবিদার। উপজেলার যেখানেই অনিয়মের খবর পান তিনি সেখানে ছুটে যান।
উপজেলার রামকান্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী লিঠু জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ হাসিব সরকার যোগদানের পর থেকে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের কাজের পরিধি অনেক গুনে বেড়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে সবসময় তিনি আমাদের সঠিক ভাবে ত্রান বিতরনের জন্য সার্বক্ষণিকভাবে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের কাজের ব্যাপারে সর্ব প্রকার সহযোগিতা প্রদান করেছেন। তার কর্মকান্ডে আমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দরা আনন্দিত। বিশেষ করে ব্যাল বিবাহের ব্যাপারে তিনি জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন।
উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, তার সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা দারুন প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে তিনি উপজেলার সকল দপ্তরের অফিসারবৃন্দ কে সহযোগিতা করেন। তিনি যোগদানের পরে উপজেলার সকল দপ্তর কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে।
৩ জুলাই ২০২০