র্যাব-৮, বরিশাল কর্তৃক অসহায় জেলে, দরিদ্র বেদে সম্প্রদায় এবং আত্মসমর্পনকৃত সুন্দরবনের জলদস্যুদের মাঝে ত্রানসামগ্রী বিতরণ ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচী
সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় মানবজাতি আজ হুমকির সম্মুখীন। বাংলাদেশ একটি ঘনবসতি পূর্ণ দেশ বিধায় আমাদের জন্য এটি মারাত্মক বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। একমাত্র ব্যক্তিগত এবং সামাজিক সচেতনতাই আমাদেরকে এ বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে পারে। এ সময় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ব্যতিত অন্যান্য দোকান/হোটেল/রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা, অপ্রয়োজনে গৃহের বাহিরে অবস্থান না করা, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বর্জন করা, সবসময় মাস্ক পরে বাহিরে অবস্থান করা, ব্যক্তিগত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা ইত্যাদি বিষয় সূমহের উপর গুরুত্তারোপ করে প্রচারনা করা হচ্ছে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রয়োজনে সারা বাংলাদেশে জনসমাগমমূলক সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এদেশের খেটে খাওয়া সাধারণ জনসাধারণ। এই সকল ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণকে সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৮, বরিশাল কর্তৃক র্যাব-৮ এর আওতাধীন ১১টি জেলায় ০৩ এপ্রিল ২০২০ তারিখে অসহায় জেলে, দরিদ্র বেদে সম্প্রদায় এবং প্রতিবন্ধীসহ সর্বমোট ৪০০ (চারশত) পরিবারকে ত্রানসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এছাড়া খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় সুন্দরবনের আত্মসমর্পনকৃত ২৮৪ (দুইশত চুরাশি) জন জলদস্যু পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী উপকরণ বিতরণ করা হয়। এ কর্মসূচীতে স্থানীয় জনসাধারণেল মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রেষনা এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও র্যাব-৮ এর অধীনে সকল জেলায় নিয়মিত রোবাস্ট পেট্রোলিং এর মাধ্যমে জনগণকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন করার লক্ষ্যে টহল বিদ্যমান রয়েছে।
ভবিষ্যতেও র্যাব-৮ এর এ ধরনের জনকল্যানমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।