দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিবৃষ্টি, বন্যার কারণে মরিচের গাছ ও ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে কাঁচামরিচের উৎপাদন কম হয়েছে। এতে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় কাঁচামরিচের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় দেশের বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম হাতের নাগালের মধ্যে রাখতে দুই বছর পর ফের দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু করেছেন আমদানিকারকরা। এতে করে দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমতে শুরু করেছে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ স্থলবন্দর দিয়ে সর্বশেষ ২০১৮ সালে কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছিল। এরপর দুই বছর পণ্যটির আমদানি বন্ধ ছিল। ২৯ জুন থেকে ফের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এদিন প্রায় ২ হাজার ৮০০ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। গতকাল হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরো তিনটি ট্রাকে প্রায় আট টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে।
হিলির বাজার ঘুরে আমদানি করা এসব কাঁচামরিচ পাইকারি পর্যায়ে (ট্রাকসেল) ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। আমদানির কারণে দেশে উৎপাদিত কাঁচামরিচের দামও কমে গেছে। গতকাল দেশে উৎপাদিত প্রতি কেজি কাঁচামরিচ মানভেদে ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়। একদিন আগেও পণ্যটি ১২০ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছিল।
স্থানীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী হারুন উর রশীদ হারুন বণিক বার্তাকে বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিবৃষ্টি ও বন্যা হওয়ার কারণে কাঁচামরিচের গাছ ও ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশের বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ১০০ টাকার ওপরে উঠে যায়। এ অবস্থায় দেশের বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালের মধ্যে রাখতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে। দুই বছর পর কাঁচামরিচ আমদানি হওয়ায় কমতির দিকে রয়েছে দাম।
বণিক বার্তার সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, ভারতের বিহার থেকে কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে। আমদানি করা এসব কাঁচামরিচ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হবে। ভারত থেকে প্রতি টন কাঁচামরিচ ২৫০ ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। শুল্ক দিতে হচ্ছে কেজিতে অন্তত ২১ টাকা। এ পরিস্থিতিতে আমদানি শুল্ক কিছুটা কমানো হলে ক্রেতা ও ব্যবসায়ী—উভয়ে লাভবান হতে পারতেন।