তরমুজের পুষ্টিগুণ
এখন চলছে বাংলা চৈত্র মাস। কাঠফাটা রৌদ্র, গরমে মনে হয় দমটা বেরিয়ে যাবে। পিপাসায় মনটা ছটপট করে উঠে। এই গরমে বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে রসালো ফল তরমুজ। পুষ্টিগুণে ভরপুর যা সহজেই হাতের নাগালে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে প্রকারভেদে তিন জাতের তরমুজ দেখা যায়। ভিন্ন ভিন্ন হলেও পুষ্টিমান এর দিক দিয়ে সব একই। তরমুজে রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ। উপরে সবুজ আর ভেতরে টকটকে লাল রসালো মিষ্টি ফলটির জুস খুবই সুস্বাদু।
তরমুজের ৯০ শতাংশই পানি। ফলে এটি খেলে গরমে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। ইলেক্ট্রোলাইটের বিশাল উৎসও এটি। যা হাইড্রেটেড থাকতে সহায়তা করে। শুধু তাই নয়, ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া খনিজ পূরণ করে ইলেক্ট্রোলাইট। এটি সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়।
চলুন দেখে নেয়া যাক, তরমুজের নানা গুণ-
পানিশূন্যতা দূর করে
গরমের সময় যখন ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। তখন তরমুজ খেলে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয়। ফলে শরীর থাকে সুস্থ ও সতেজ।
চোখ ভালো রাখে
তরমুজে আছে ক্যারোটিনয়েড। আর তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে চোখ ভালো থাকে এবং চোখের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্যারোটিনয়েড রাতকানা প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
শারীরিক শক্তি বাড়ায়
টেক্সা এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির গবষেণায় দেখা গেছে, যারা শারীরিক শক্তির দিক থেকে দুর্বল, তাদের জন্য তরমুজ প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। শারীরিক শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ
অনেকদিন ধরে যারা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন এই ফলটি খাবেন। দেখবেন এটি আপনার শরীরে ভিটামিন সি’র অভাব পূরণ করে হাঁপানি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
তরমুজ অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভালো উৎস। এটি ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী কোষগুলোকে নির্মূল করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এতে লাইকোপিন নামে এমন এক উপাদান আছে, যা প্রোটেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
শরীরের চর্বি কমায়
তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এমাইনো এসিড, যা শরীরের কোলেস্টরেল ও চর্বি কমিয়ে দেয়। এন্টি অক্সিডেন্টও, যা শরীরের জমে থাকা কোলেস্টরেল কমাতে সহায়তা করে।
কিডনি ও লিভার সুরক্ষা
প্রচুর জলীয় উপাদান থাকায় প্রস্রাবের জ্বালা কমায়। এটি কিডনি ও লিভার সুরক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর। তরমুজে রয়েছে এমন এন্টিবডি যা কিডনি ও লিভার সুরক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর