সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের অত্যাচার নির্যাতনে নিহত গৃহবধূ মোছাঃ সুমা আক্তার হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি সঠিক তদন্তের মধ্যেমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে পিতার সংবাদ সম্মেলন ।
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নিহত গৃহবধূর স্বজনদের আয়োজনে সুনামগঞ্জ শহরের পৌর বিপনীন্থ দুতলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন নিহতের স্বজন মোঃ ইকবাল হোসেন।
তিনি জানান ২০১৮ সালের ২ ফেব্রæয়ারী দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের নেতরছই গ্রামের মোঃ মরম আলীর ছেলে মোঃ সেলিম মিয়ার সাথে সুমা আক্তারের বিয়ে হয। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী সেলিম মিয়া, শ্বশুড় মোঃ মরম আলী,ননদ শাহেনা বেগম যৌতুকের টাকার জন্য বার বার নির্যাতন করে আসছিল। কিন্তু অসহায় সুমা আক্তার প্রায় সময়ই দিনমুজুর পিতার নিকট হতে টাকা এনে দিত । কিন্তু গত ১৭ই জুন ২০২০ সালে একইভাবে যৌতুকের টাকার জন্য সুমা আক্তারকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করার সময় নিহত গৃহবধূর ছোটবোন রীমা আক্তার তার বাড়িতে অবস্থান করেছিল। তখন স্বামী সেলিম মিয়া, শ্বশুড় মোঃ মরম আলী ও ননদ শাহেনা বেগম যৌতুকের টাকার জন্য লাঠি দিয়ে নির্যাতন শুরু করে। এ সময় গৃহবধূর ছোটবোন এগিয়ে এলে তাকে ও নির্যাতন করতে শুরু করে। একপর্যায়ে রীমা আক্তার দৌড়ে তার বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার পিতামাতা আত্মীয় স্বজন সবাইকে অবহিত করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই সেলিম মিয়ার বাড়ি হতে ফোন আসে সুমা আক্তার আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে তারা মেয়ের বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূ সুমা আক্তারের লাশ মাঠিতে পড়ে থাকতে দেখেন। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে খোজে বের করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপারের নিকট জোর দাবী জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের পিতা মোঃ আবুল কালাম,দাদা মোঃ আব্দুল শহীদ,বোন রীমা আক্তার, মোঃ রাজা মিয়া ও মোঃ জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল হাসেম জানান গৃহবধূ সুমা আক্তারকে আপাতত স্বামীর বাড়ির লোকজনের অত্যাচার নির্যাতনের ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় তার স্বামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন মেডিকেল রিপোর্টের উপর নির্ভর করবে সুমা আক্তারের ঘটনাটি হত্যা না আতহত্যা ।