ফরিদপুর বোয়ালমারী উপজেলার তিন শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদে শনিবার সকালে ছোলনা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রকিবুজ্জামান মিলন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমাকে ও মধ্যেরগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. গাফফার শেখ এবং প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও ছোলনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেনকে জড়িয়ে বিভিন্ন অনলাইন গনমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সত্য নয়। আমাদের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রিমহল উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদটি পরিবেশন করিয়েছে।
বিভিন্ন শিরোনামে শিক্ষকদের শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা উত্তোলনে দুই শতাধিক শিক্ষককের নিকট থেকে ৩শ টাকা করে উৎকোচ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও হিসাব রক্ষণ অফিস ম্যানেজ করার কথা ওই অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমরা কোন শিক্ষককের নিকট থেকে কোন টাকা নেইনি এবং এব্যাপারে কারো কাছে কোন টাকা দাবী করা হয়নি। শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা ২২৭ জন শিক্ষকদের প্রায় ৩৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৬০ টাকা প্রাপ্তিতে জুন মাস শেষ হওয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। ইউএনও স্যারের সার্বিক সহযোগিতায় আমি (রকিবুজ্জামান), আ. গাফফার শেখ ও মো. মোশাররফ হোসেন মিলে দৌড়াদৌড়ি করে ওই জটিলতা ছাড়িয়ে শিক্ষকদের ভাতার টাকা পাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করি। আমার প্রিয় শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি শিক্ষকদের বিভিন্ন কাজকর্মে পাশে দাড়ায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্হিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেন, আ. গাফফার শেখ, শফিকুল ইসলাম, নাদিরা বেগম ও সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। প্রসঙ্গত- বোয়ালমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে পরস্পর বিরোধী দুটি গ্রুপ রয়েছে। এ বিরোধের জের ধরে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে একে অপরকে হেয় করার চেষ্টা চলে।