ফরিদপুর নৌ বন্দরের ইজারাদারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে অবৈধ প্রক্রিয়ায় নৌ বন্দরের অপদখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার (৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে শহরের লক্ষিপুর স্টেশন রোডে অবস্হিত ব্যবসায়ীক কাযার্লয়ে এ অভিযোগ করেন ওই নৌ বন্দরের ইজারাদার কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আলাউদ্দিন ট্রেডিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্হাপক (প্রশাসন) অসীম কুমার কর্মকার। ফরিদপুর নৌ বন্দরের ইজারাদার প্রতিষ্ঠান রিয়াজ কপোর্রেশন এই আলাউদ্দিন ট্রেডিংয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
অসীম কুমার কর্মকার সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) হতে ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে ২০২০-২১ অর্থ বছরের জন্য এই বন্দরের ইজারা নিয়েছে রিয়াজ কপোর্রেশন। কিন্তু একটি মহল বৈধ প্রক্রিয়ায় এই নৌবন্দরের ইজারা পেতে ব্যর্থ হয়ে নানাভাবে আলাউদ্দিন ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে
ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান আলাউদ্দিন ট্রেডিং সহ আরো কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। এছাড়া তিনি নানা সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সম্পৃক্ত। সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অপপ্রচারের তিব্র নিন্দা জানানো হয় এবং বিভ্রান্তির নিরসণে প্রশাসনের পক্ষ হতে বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুর জেলা সদরের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুস সালাম লাল, রিয়াজ কপোর্রেশনের স্বত্ত্বাধিকারী রিয়াজ আহম্মেদ শান্ত, স্হানীয় পৌর কাউন্সিলর শেখ আব্দুল জলিল, ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল হোসেন প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন।
এর আগে রোববার সকাল ১০ টার দিকে ডিগ্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান মিন্টু নৌ বন্দর এলাকায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন যে, ফরিদপুর নৌ বন্দরের ইজারাদার রিয়াজ কপোর্রেশন অবৈধ প্রক্রিয়ায় কম মূল্য দেখিয়ে এই নৌ বন্দরের ইজারা গ্রহণ করেছেন। এখানে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান খান উপস্হিত ছিলেন।