রাজশাহীর বাঘা উপজেলাধীন বাঘা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে চাউল আত্বসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি খাদ্য কর্মসূচি অপেন মার্কেট সেল ( ওএমএস) ১০টাকা কেজির চাউল বিতরন না করে আত্বসাৎ করবার অভিযোগ উঠে স্থানীয় বাঘা পৌরসভার অন্তর্গত ডিলার শাহিন আলম এর বিরুদ্ধে। পৌরসভার ওএমএস এর সুবিধাভোগী ব্যাক্তিরা এ অভিযোগ করেন।
রবিবার (৫জুলাই)উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে চাউল না পাওয়ার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন তারা ওএমএস সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা।
সরেজমিন বাঘা জিরোপয়েন্টে পরিদর্শন করে জানা যায়, করোনাভাইরাস জনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সারাদেশের মতো বাঘা পৌরনগরেও সরকার কর্তৃক বিশেষ বরাদ্দকৃত ওএমএস এর চাউল তালিকা প্রনয়নের মাধ্যমে বিক্রয় হচ্ছে। একটি ডিলারশীপ পেয়েছেন বাঘা পৌর যুবলীগের সভাপতি, মেসার্স এস আর পি ট্রেডার্স এর মালিক শাহিন আলম। তার লাইসেন্স এর আওতাধিন ওএমএস মোট সুবিধাভূগীর সংখ্যা ৮৪০ জন। বরাদ্দকৃত চাউলের পরিমান ১৬.৮ মে:টন । গত জুন মাসের ১, ৭, ১১ ও ২৪ তারিখে উত্তোলন করেছেন ডিলার শাহিন আলম। কিন্ত উত্তোলনের ওএমএস চাউল বিতরন করেন নি । রবিবার (৫জুলাই)সকালে বিষয় টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে অবগত করেন কয়েকজন কার্ডধারি। এ নিয়ে ডিলার শাহিন কে চাউল বিতরনের নির্দেশ দেন ইউএনও । পরে দ্রুত স্থানীয় নারায়নপুর বাজারের চাউল ব্যাবসায়ী সাইফ এন্টারপ্রাইজ লালনের দোকান থেকে ৪০ বস্তা নিম্নমানের চাল কিনে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করেন।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষোমান সাড়িবদ্ধ ভাবে রোদ-বৃস্টি মাথায় নিয়ে চাউল হাতে পাবার পর অনেক উপকারভোগী অসহায়ত্বের সুরে বলেন, আমাদের এই দুঃসময়ে সরকার আমাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। কিন্তু সেই চাউল আত্বসাৎ এর চেস্টা খুবই দুঃখজনক।
এতে একদিকে যেমন দরিদ্র মানুষজন প্রতারিত হচ্ছে, তেমনি সরকারেরও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ডিলার গণমাধ্যম কর্মিদের জানান, আমরা খালি বস্তা বিক্রি করে দি। তাই এখানে সরকারি বস্তার পরিবর্তে চিনির বস্তায় চাল ভরেছি। চাল কিনে দিচ্ছেন কেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ফ্রি হয়ে কথা বলছি।
বিষয়টি সম্পর্কে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার পলাশ আহম্মেদ বলেন, চাউল কিনে দিয়েছে কিনা এটা জানা আমার বিষয় না। আমি দেখব ওজন ঠিক দেওয়া হচ্ছে নাকি । কার্ডধারী ছাড়া অন্য কেউ চাউল নিচ্ছে না কি দেখা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন রেজা বলেন, আজ সকালে কয়েকজন আমাকে চাউল না পাওয়ার বিষয়টি জানায়। আমি সঙ্গে সঙ্গে ডিলার কে চাউল বিতরন করার নির্দেশ দিয়েছি। তিনি আরও জানান, চাউল কিনে দিল, না কিভাবে দিল; সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। চাল পেয়েছে কিনা সেটি আমি দেখব। তবে চাউল নিয়ে কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে বিধি সম্মত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।