ফরিদপুর অফিস
ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য এ.কে. আজাদ বলেছেন, ফরিদপুরের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগের সহযোগী হবো। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালনে নিজ অর্থায়নে ফরিদপুর পৌরসভার ২৭ নং ওয়ার্ডের বিসমিল্লাহ শাহ দরগার মাঠে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এ.কে. আজাদ বলেছেন, ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি এ অঞ্চলের স্বাস্থ্যখাতের একটি বড় জায়গা। আশেপাশের কয়েকজেলার মানুষ এখঅনে এসে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। এই হাসপাতালটিতে প্রশাসনিক নানা জটিলাতা, যন্ত্রপাতির অভাব, দালালদের দৌরাত্বসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। আমাদের আরেকটি হাসপাতাল আছে ফরিদপুর শহরের প্রানের মধ্যে ফরিদপুর জেনালের হাসপাতাল। সেটিও আজ মুখ তুবরে পড়েছে। তিনি বলেন আমি জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, মেডিকেল হাসপাতাল তত্বাবধায়ক এবং মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষসহ ডাক্তার ও প্রফেসর ও উধ্বতন কর্মকর্তাদের সার্থে বসে কথা বলেছি। তাদের সেবার মান উন্নয়নে ও রোগীকে পরিপূর্ন সেবা প্রদানে কি প্রয়োজন তা জানতে চেয়েছি। আর সাধারন জনগনকে পরিপূর্ন সেবা প্রদান করতে আপনারা কি করবেন তা জানতে চেয়েছি। খুব তারাতারি ফরিদপুরের স্বাস্থ্যসেবার পরিবর্তন করে মান সম্মত সেবা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, শুধু মান সম্মত চিকিৎসা সেবাই নয় মানসম্মত শিক্ষাও নিশ্চিত করা হবে। মেডিকেলের শিক্ষাথর্ীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করে মানবিক ডাক্তারে তাদের রুপ দিতে কাজ করছি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশে কারিগরী ও বাস্তবভিত্ত্বিক জ্ঞান অর্জনের দিকে শিক্ষাথর্ীদের গুরুত্ব দিতে হবে। কারন শুধু সেরা সেরা সনদ নিয়ে চাকরীর ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে দেখি আশলে সবই জিরো। তাই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকদের সম্বন্বিত হয়ে একত্রে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমি ফরিদপুরের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। বেকার ছেলে-মেয়েদের চাকরী দিতে গেরদা ইউনিয়নের পশরায় ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তুলেছি। সেখানে এক মাস ট্রেনিং নিয়ে ফরিদপুরের ১০০ উপরে ছেলে-মেয়েরা ঢাকাসহ বিভিন্ন গার্মেন্টেসে চাকরী করছে। স্বল্প শিক্ষিত সেই ছেলেমেয়েরা শুরুতেই ১৭ হাজার টাকা বেতনের চাকরীতে যোগদান করেছে। আমরা এখানে বিনামর্ূল্যে ট্রেনিং দিচ্ছি। সাথে তাদের যাতায়ত ভাড়া বাবদ প্রতিদিন ১০০ টাক করেও দিচ্ছি। আর খাওয়া দাওয়া তো আছেই। তিনি বলেন, আপনাদের বেকার স্বল্প শিক্ষিত ও অর্ধ শিক্ষিতি ছেলে-মেয়েদের প্রশিক্ষন নিতে গেরদাতে ভর্তি করেন। চাকরী দেওয়ার দায়িত্ব আমার। তিনি বলেন, আপনাদের সহযোগীতায় ফরিদপুরকে একটি ক্ষুদা এবং দারিদ্র মুক্ত এবং শোষনহীন শান্তির শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
সংসদ সদস্য সকাল থেকে ফরিদপুর পৌরসভার মাহমুদপুর বিসমিল্লাহ শাহ দরগাহ মাঠে এবং শহরের পূর্ব খাবাসপুর হিতৈশি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই দুটি স্থানে পৌর ১৫, ২০, ২১, ১৩, ১৪, এবং ২৭ নং ওয়ার্ডে আলাদা আলাদা ২০০ জন করে মোট ১২ শত পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক ভোলা মাস্টার, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল বাতেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির, কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মানোয়ার হোসেন, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও সমাজসেবক ডা. মাসুদা বেগম বুলু, গেরদা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ আলী বিদু, কোতয়ালী স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রহমান ঝনক, পান্নু মোল্লা, ডা. মোঃ ওয়াহিদ, জাসদ মিয়া।
#রাশেদুল হাসান কাজল, ফরিদপুর।