রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় উপজেলায় ইউনিয়নে গ্রামে- গ্রামে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় পীরগঞ্জ উপজেলার ৫ নং সৈয়দপুর ইউনিয়নে০৮ মে শুক্রবার বিকেল ৩ টায় শতাধিক গরিব অসহায় হতদরিদ্র খেটে খাওয়া দিনমুজুর মানুষের মাঝে দেওয়া হয় ও সকলকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা পীরগঞ্জ উপজেলার ৫ নং সৈয়দপুর ইউনিয়নে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যেগ।সাধারণ মানুষকে বাসায় থাকতে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বিনা প্রয়োজনে যাতে কেউ বাইরে বের না হয় তা তদারকি করছে উপজেলা প্রশাসন সহ পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এ পরিস্থিতে নিন্মআয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে৷ নিজ দেশের কর্মহীন দিনমজুর শতাধিক পরিবারের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কোরিয়া ” দক্ষিণ কোরিয়া অবস্থিত জনপ্রিয় একটি সামাজিক সংগঠন।বাংলাদেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে দেশের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কোরিয়া নিজস্ব অনলাইন পেজের মাধ্যমে একটি সাহায্য ফান্ড গঠন করে। এই ডাকে সাড়া দিয়ে কোরিয়া প্রবাসীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে উক্ত ফান্ডে অর্থ সাহায্য দান করে।এরই ধারাবাহিকতায় ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কোরিয়া, প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় নিজস্ব প্রতিনিধির মাধ্যমে ডাক্তারদের জন্য পিপিই জেলা প্রশাসকের নিকট হস্তান্তর করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সারাদেশের প্রতিটি বিভাগের বেশ কিছু অঞ্চলে খাদ্যদ্রব্য বিতরনের পদক্ষেপ হাতে নেয়। এরই অংশ হিসেবে রংপুর বিভাগের অন্তর্গত ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় ৫ নং সৈয়দপুর ইউনিয়ন এর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মোঃ একরামুল হক এবং ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কোরিয়া’র স্থানীয় প্রতিনিধি ইলিয়াস লিমন এর উপস্থিতিতে ১০০ পরিবারের মাঝে খাদ্যদ্রব্য চাল, ডাল, তৈল, আলু, সাবান বিতরণ এর কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। দেশের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রবাসীদের এই সামান্য প্রয়াস দেশের বিত্তবানদের কে এগিয়ে আসার জন্য অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করে ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কোরিয়া, উল্লেখ যে – ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কোরিয়া ” দক্ষিণ কোরিয়া অবস্থিত জনপ্রিয় একটি সামাজিক সংগঠন মনে করে যে, নিজ নিজ যায়গা থেকে আসেপাশের গরিব দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে এই পরিস্থিতিতে অনেক বেশি করে গরিব অসহায় হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষেরা উপকৃত হবে৷ কারণ যারা বাইরে কাজ করার পর এক বেলা এক মুঠো ভাত পেত তারা লকডাউনের কারণে আজকে ঘরে বন্দী হয়ে আছে৷ আর এই মুহুর্তে সকলের উচিৎ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দেওয়া৷তাই সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আশার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসীেরা। এছাড়াও ইপিএস বাংলা কমিউনিটি ইন কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া অবস্থিত জনপ্রিয় একটি সামাজিক সংগঠনের পক্ষে থেকে একদল তরুণ, রাতের অন্ধকারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে এবং করোনা ভাইরাসকে ভয় না পেয়ে সচেতনতার মাধ্যমেই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে সরকার ঘোষিত সকল নিয়ম কানুন মেনে চলার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান হয়।।