সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় এবছর বাঙ্গিতে চড়া মূল্য পেয়ে খুশি চাষীরা। অনান্য বছর বাঙ্গি চাষ করে কাঙ্খিত দাম না পেয়ে হতাশ হলেও এবছর তা পুশিয়ে নিচ্ছে তারা। পবিত্র রমজান’কে সামনে রেখে প্রতিবছর উপজেলা জুড়ে বাঙ্গি ও লালমির চাষ করে চাষীরা। এসব বাঙ্গি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহর ও হাট-বাজারে রপ্তানি হয় ।
প্রতিদিন উপজেলার বাঙ্গি বাজার থেকে শত শত ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হয়।
গতকাল শনিবার উপজেলার প্রধান বাঙ্গির বাজার কাটাখালী,
বাধানোঘাট ও নতুন হাট বাজারে সর্বচ্চ ১০ হাজার থেকে সর্বনিম্ম ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ১শ বাঙ্গি বিক্রি করতে দেখা গেছে। এবছর ভালো দাম পেয়ে চাষিরা বেজায় খুশি।
উপজেলা কৃষি আফিসার বিধান রায় জানান, রোজার মৌসুমে
উপজেলায় ৮৯১ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি ও লালমি চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের থেকে তুলনামূলক কম।
চাষীরা জানায়, ৫২ শতাংশে ১ বিঘা জমিতে বাঙ্গি ও লালমি চাষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এবছর এক বিঘা জমিতে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে ধারণা করছে। এছাড়া বাঙ্গি তুলার পর এসমস্ত জমিতে ধান চাষ করা যায়।
কৃষ্ণপুর গ্রামের বাঙ্গি চাষী জুলহাস শেখ জানায়, ৭৮ শতাংশ বাঙ্গি চাষ করতে তার প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। রোজার শেষ পর্যন্ত বাজারে চলমান দাম থাকলে প্রায় ১ লাখ টাকা বিক্রির সম্ভবনা রয়েছে।