• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
মাদক নির্মুলে বাঘা থানা পুলিশের তৎপরতা

সারা বাংলাদেশে মাদকের অবস্থান জিরো টলারেন্সে নিয়ে আসার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন তারই অংশ হিসেবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন,’বাংলাদেশ থেকে মাদক,সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ চিরতরে নির্মূল করা হবে।’মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ (বিপিএম,পিপিএম) এর দিক নির্দেশনায় বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই নাজমুল হক,এসআই মোঃআলমগীর হোসেন,এসআই আমিনুল ইসলাম এসআই সইবুর রহমান,এসআই আতাউর রহমান,এএসআই ওমর ফারুক, এএসআই মাসুদ ইকবাল,এএসআই রেজা,এএসআই জয়নাল আবেদীন সহ বাঘা থানা পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে প্রতিনিয়ত নানামুখী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন অভিযানে উপজেলার আলাইপুর,মিরগঞ্জ,হাজামপাড়া,নাপিতপাড়া,বেলালেরমোড়,হেলালপুর,কিশোরপুর,পাকুড়িয়া,কলিগ্রাম কিলিক মোড়, নারায়ণপুর,সুলতানপুরসহ কয়েকটি চিহ্নিত স্পটে ওসি নজরুল ইসলামের বিশেষ নজরদারির কারণে ইদানিং মাদককারবারী ও বহিরাগত মাদকসেবীদের আনাগোনা কমেগেছে। একদিকে মাদক পাচারকারী অন্যদিকে বহনকারী ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দিনরাত চলছে বিশেষ অভিযান।কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এসব এলাকার মাদক পাচারকারী ও ব্যবসায়ীরা।আগে মাদককারবারীদের নির্দিষ্ট স্পট থাকলেও বাঘা থানা পুলিশের তৎপরতায় এখন মাদকের নির্দিষ্ট কোন আস্তানা নেই।বহুবার আস্তানা তৈরি করতে চাইলেও পুলিশের বিশেষ নজরদারিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।পুলিশের অভিযানে শতাধিক চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী ও কুখ্যাত দাগী কয়েকজন আসামীকে আইনের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশের নিয়মিত টহলের কারণে মাদক ব্যাবসায়ীদের অনেকে গা ঢাকা দিয়েছে।আলাইপুর ও মিরগঞ্জ এলাকার লোকজন জানান, এক সময় এই এলাকায় মাদক ব্যাবসায়ীদের সংখ্যা যে হারে বেড়েছিল এতে মানুষ সন্তানদের নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলেন।আগে যেখানে সেখানে দিন-দুপুরে মাদক ব্যাবসায়ীদের মাদক বিক্রি করতে দেখা যেতো।এতে যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ঝুঁকে পরেছিল।বর্তমানে বাঘা থানা পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় মাদক ব্যাবসা অনেকাংশে কমে এসেছে।বর্তমানে মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছে এক আতংকের নাম ওসি নজরুল ইসলাম।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন,আমি যোগদানের পরে ১৬ই আগস্ট,১৯ হতে ৯ই আগস্ট,২০ পর্যন্ত মোট মাদক মামলা হয়েছে ১৮৪টি,আসামি ৩০৪ জন,এর মধ্যে আমরা ৩৩৮০পিস ইয়াবা,১৩ কেজি ৯৮৫ গ্রাম গাঁজা,২৮৮০ বোতাল ফেন্সিডিল,৭৫কেজি চোলাইমদ ও ৩৮ গ্রাম হেরোইন জব্দ করেছি।মাদকের সঙ্গে জড়িত কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।বাঘা উপজেলাকে মাদকমুক্ত করতে বাঘা থানা পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।পুলিশের এ অভিযানে ইতোমধ্যেই মাদক ব্যাবসায়ীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।মাদক ব্যবসায়ীরা যে দলেরই হোক না কেন ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি অপরাধ দমনে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
উপজেলার মাদক ব্যবসায়ী বেশী বলে পরিচিত মনিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন,ওসি উনারমত নিয়মমাফিক কাজ করছেন।এতে আমার মনিগ্রামে  ইউনিয়ন এলাকার জনসাধারণ  ভাল আছেন।
পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন,আমার ইউনিয়নটি পদ্মা নদীর তীর বর্তী এলাকাতে মাদক সেবী ও ব্যাবসায়ীদের উৎপাত কমেছে।আমার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই  বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিটি অভিযানে  আমি ও এলাবাসী খুশি এবং মাদকের সাথে কোন আপোষ করেন না তিনি।
এবিষয়ে বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন,বর্তমান বাঘা থানার ওসি মাদক সেবী ও ব্যাবসায়ী দের সাথে কোন কথা বলেন না। পৌর এলাকায় সব সময় দেখেছি ওসি নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে মাদক নির্মূলে শক্ত অভিযান চলমান রেখেছেন।
বাঘা রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি মহিদুল ইসলাম বলেন,আমাদের বাঘা থানার অফিসার ইন-চার্জ নজরুল ইসলাম মাদক ধ্বংসের অভিযান চালাচ্ছে।এতে বাঘাবাসীসহ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিরাপদে থাকবে বলে আমিও মনে করি।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।