ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর ফেলু মাতুব্ববারের পাড়ায় গড়ে উঠেছে পল্টি মুরগীর খামার। মুরগির খামারের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে নীতিমালা উপেক্ষা করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় খামার স্হাপন করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী।
সম্প্রতি একই স্হানে (একটি খামার থেকে সামান্য দুরে) ফেলু মাতুব্বর পাড়ার আব্দুল মজিদ সেক এর বাড়ির পাশে পল্টি মুরগীর খামার করার উদ্দেশ্যে একটি ঘর নির্মাণ করেছে মো. জাহিদ মোল্যা। তিনিও নীতিমালা উপেক্ষা করে খামার স্হাপন করেছে। খামারের চারিদিকে হাজারো মানুষের বসবাস। এলাকার পরিবেশ দুষন রোধে খামারটি বন্ধের দাবীতে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন আ. মজিদ শেখ।
এ বিষয়ে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম মজনু বলেন, জাহিদ মোল্যা পল্টি মুরগীর খামার করেছেন, ঐ এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। খামারের আশে পাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মসজিদ ও মাদ্রাসা আছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালে ৪ জানুয়ারীতে ইউনিয়ন পরিষদে উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিসি করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে খামারটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার খরচ বাবদ দশ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সম্প্রতি জাহিদ ঐ স্হানেই পল্টি মুরগীর খামার করার উদ্দেশ্যে একটি ঘর নির্মাণ করেছে। এখানে মুরগির খামার করলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে।
অভিযুক্ত জাহিদ মোল্যা বলেন, আমি পরিবেশ অধিদপ্তরে ও প্রানি সম্পদ বিভাগেও আবেদন করেছি। তবে এখনও কাগজ পত্র পাইনি।
এদিকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে দ্রুত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে পল্টি মুরগীর খামার উচ্ছেদ করা হবে।