ই ফাইলিং এ পরপর পাঁচবার প্রথম স্থানে অনড় রয়েছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। জুন মাসের কার্যক্রমের প্রকাশিত ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার ৯ জুলাই, ২০২০ একসেস টু ইনফরমেশন (এ টু আই) এ তথ্য প্রকাশ করে। ফলাফলে ১ জুন থেকে ৩০ জুন, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ফরিদপুর ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ২৪ হাজার ৫ শত ৫ টি ডাক নিষ্পন্নের মাধ্যমে প্রথম স্থান অর্জন করে। একই সাথে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনে স্ব উদ্যোগে সৃজিত নোটের সংখ্যা ৪ হাজার ৩ শত টি, ডাক থেকে সৃজিত নোট ৩ হাজার ৮ শত ৫৩ টি, মোট পত্রজারী ৩ হাজার ৫ শত ৮৫ টি।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম স্থান অর্জন করে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। এরপরে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে দেশের সেরা ২৫ টি জেলার মধ্যে ফরিদপুর প্রথম স্থানে অর্জনে অনড় অবস্থানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে। সূত্র জানায়, করোনা দুর্যোগ এবং সরকারি সাধারণ ছুটির মধ্যেও জনসেবা অব্যহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা সংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টি, স্বাস্থ্য সেবায় সতর্ক দৃষ্টি, কর্মহীন ও দু:স্থ্যদের জরুরী ত্রান তৎপরতাসহ নানা ক্ষেত্রে জনসেবা অব্যাহত রাখার সাথে সাথে ইলেকট্রনিক ফাইলিং (ই ফাইলিং) এর কার্যক্রম অব্যহত রাখা হয়।
দেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ই ফাইলিং এ ‘এ’ ক্যাটাগরির জেলা ২৫ টি। এই ২৫ টি জেলার মধ্যে গত ৫ মাসের মত এবারে মে মাসের ফলাফলেও প্রথম স্থানে অনড় থাকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহিত ই ফাইলিং কার্যক্রম আমরা সানন্দে গ্রহন করি। এই পদ্ধতিতে কাজ গতানুগতিক কাজের চেয়ে সুবিধাজনক। বন্ধের দিনে বা গভীর রাতেও বাসায় বসে কাজ করা যায়। জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জেলা প্রশাসক অতুল স্যার আমাদের টিম লিডার। তার সু-নিদ্দিষ্ট দিক নির্দেশনার আলোকে আমরা সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নব উদ্যোমে কাজ শুরু করি। সকলের কর্ম প্রচেষ্টায় আমরা পরপর পাঁচবার প্রথম স্থান অর্জন করতে পেরেছি। তারা জানান, গত বছরের ২৩ জুন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন অতুল সরকার। প্রথম থেকেই তিনি জনসেবার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তারা সকলে কর্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজের গতি বাড়িয়ে এগিয়ে যায়।