আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কিস্তি আদায়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কুষ্টিয়ার এ,আর,মোটরস শোরুম জোর করে গ্রাহকদের কাছ থেকে ইজিবাইকের কিস্তি আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানের হতদরিদ্র মানুষ এ আর মোটরস কাছ থেকে ইজিবাইক কিস্তিতে নিয়ে থাকে, কিন্তু কিস্তি দিতে দেরি হইলে তাদের কর্মী কর্তৃক গ্রাহক হয়রানির খবর পাওয়া গেছে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক কিস্তি আদায় নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেও কিস্তি আদায়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এ,আর মোটরস এর কর্মীরা। এরই মধ্যে কিস্তির টাকা আদায় নিয়ে গ্রাহকদের সাথে এ,আর,মোটরস কর্মীদের উগ্র আচরণ ও ঝগড়া-বিবাদের ঘটনা ঘটেছে।
করোনাভাইরাসের দুর্যোগে কিস্তি আদায় মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো হয়ে দাঁড়িয়ে গ্রাহকদের। এ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন একজন গ্রাহক সেই সঙ্গে কিস্তির টাকা নিয়ে দিশেহারা তারা। এবিষয়ে ভুক্তভোগী আসাদুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি জানান আমি গত ১৩-০১-২০২০ তারিখে কিস্তিতে এ,আর,মোটরস শোরুম উপজেলা মোড় হইতে ১৭০৩০০/টাকার ১টি ইজিবাইক ক্রয় করি ইতি পূর্বে আমি প্রতি মাসে ১০০০০/টাকা করে কিস্তি পরিশোধ করিয়াছি। কিন্তু করোনা ভাইরাস জনিত কারনে লকডাউন থাকায় ইজি বাইক চালাইতে না পারার কারনে যথা সময়ে পরবর্তীতে কিস্তি পরিশোধ করিতে পারি নাই। সে কারনে এ,আর,মোটরস এর কর্মীরা আমাকে গত ইং ৩০-০৬-২০২০ তারিখে ফোন দিয়ে অফিসে ডেকে নিয়ে যায় এবং কিস্তি টাকা পরিশোধ করিতে বলে আমার কাজ কর্ম না থাকায় কিস্তি টাকা এই মূহুর্তে দিতে পারিবনা বলিলে তাহারা আমাকে মারধোর করে ইজিবাইকটি কেড়ে নেয় এবং টাকা পরিশোধ না করিলে তোকে এই ইজিবাইক ফেরত দিব না। আমি গত ০৭-০৭-২০২০ ইং তারিখে গরু বিক্রয় করে নগদ ৫০০০০/ টাকা নিয়ে সন্ধ্যা অনুমান ৬ ঘটিকার সময় এ,আর,মোটরস অফিস কার্যালয়ে আমার বন্ধু সুমনকে সাথে নিয়ে উপস্হিত হইলে তাহারা তাৎক্ষিক ভাবে বলে সমস্ত টাকা পরিশোধ করো। আমি সরল বিশ্বাসে গরু বিক্রি করা নগদ ৫০০০০/ টাকা দিয়ে দিই। এই টাকা নেওয়ার পরে তাহারা আমাকে ইজিবাইক ফেরত না দিয়া গালি গালাজ ও মারধোর করে অফিস থেকে বের করে দেয় পরবর্তীতে এই ইজি বাইক ফেরত চাইলে জীবন শেষ করিয়া ফেলিব। আমি ও আমার বন্ধু ভয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি। এর পর আমি কুষ্টিয়া জেলা প্রসাশক মহদোয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।