মাহবুব পিয়াল,ফরিদপুর :
ফরিদপুরে হাইকেয়ার স্কুলের উদ্যোগে শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী শিশু ও অভিভাবকদের নিয়ে দিনব্যাপী হেলথ ক্যাম্প অনুষ্টিত হয়েছে।
শনিবার(৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় শহরের কমলাপুর এলাকায় হাইকেয়ার স্কুল ভবনে এই ক্যাম্প অনুষ্টিত হয়।হেলথ ক্যাম্প উপলক্ষে অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।
হাইকেয়ার স্কুলের প্রতিষ্টাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি রাশিদা আক্তারী খানম (বিউটি) এর সভাপতিত্বে অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফরিদপুর জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এ এস এম আলী আহসান।
এসময় হাইকেয়ারের সেক্রেটারী জেনারেল তারিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিচালক আসিফ বিন ইসলাম, এক্সেকিউটিভ সেক্রেটারী কাম একাউন্টস অফিসার সায়েম আহমেদ, হিয়ারিং সেন্টারের চীফ অডিওলজিস্ট মিসেস কানিজ ফাতেমা, অডিওমেট্রিশিয়ান মিসেস ফারহানা কবির ,হাইকেয়ার স্কুল ঢাকার প্রধান শিক্ষক মিসেস রওশন আরা, হাই কেয়ার স্কুল, ফরিদপুরের প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা পারভিন (ডিউবী শিকদার), ব্র্যাক ব্যাংক ফরিদপুরের প্রিন্সিপাল অফিসার মো: আশরাফুজ্জামান, এফপিএবি-ফরিদপুর জেলা কর্মকর্তা এমকে শাহজাহানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে হাইকেয়ারের সেক্রেটারি জেনারেল তারিকুল ইসলাম খান বলেন, সামাজে যারা শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী আছে, তারাও পড়াশোনা শিখতে পারে। তাদেরকেও ধিরে ধিরে কথা শেখানো যায়। তারা কানে যতটুকু শুনে সেটাকে আরও বাড়ানো যায়। সেই মেসেজটা দেওয়ার জন্য আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে যাচ্ছি। তাদেরকে কিভাবে যত্ন নিতে হবে, পড়াশোনা করাতে হবে তাদের সামাজিক যে অধিকার সেসব বিষয়ে অভিভাবকদের আমরা অবহিত করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ৪০ বছর আগে তখন সমাজ এমন ছিল না। এখন যেমন ডাক্তারের কাছে অনেক তথ্য প্রযুক্তি আছে। তখন ডাক্তাররা জানত না একটি প্রতিবন্ধী বাচ্চার ভালোর জন্য কি কি প্রতিবিধান আছে। তখন কোনো পরিবারে এই ধরনের একটি শিশু থাকা মানে সেই পরিবারটির জন্য বড় বোঝা ছিল। অনেকে বাচ্চাটিকে সমাজে পরিচয় করাত না। তাকে মেহমানের সামনে যেতে দেওয়া হত না। ওই শিশুটির সম্পদ অন্যরা ভোগ করত। এই ধরনের নানা ধরনের বঞ্চনা সহ্য করত তারা। কিন্তু এখন তাদের জন্য অনেক ভালো আধুনিক ট্রিটমেন্ট আছে। আমরা সেই মেসেজটাই দিচ্ছি সবাইকে। তাদের জন্য হাইকেয়ার কাজ করে যাচ্ছে।
হেলথ ক্যাম্পে শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বিশেষত শিশুদের বিনামূল্যে শ্রবণ মাত্রা নির্ণয় করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।