খুলনায় সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও
চিকিৎসা সেবা চালু থাকবে
খুলনা, ২৬ চৈত্র (১১ এপ্রিল) :
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে খুলনায় সরকারি হাপতালের পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো জরুরি ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা চালু রাখবে। এছাড়া ছোট ছোট প্রাইভেট চেম্বারগুলো বিছিন্নভাবে খোলা না রেখে, যেসব বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত সমন্বিত সুরক্ষা সক্ষমতা আছে সেগুলোর মাধ্যমে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা সেবা চালু থাকবে।
খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলনকক্ষে আজ (শনিবার) দুপুরে খুলনা বিএমএ (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন), প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোয়িয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাথে খুলনা জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। বিভাগীয় কমিশনার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে যার যতটুকু সক্ষমতা আছে তা নিয়েই মানুষের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের চিকিৎসা সেবার ৬০ শতাংশই পুরণ করে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের এই দুর্যোগকালে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি বন্ধ থাকে, তাহলে মানুষ সাধারণ রোগেও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও খুলনা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও খুলনা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালু রয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে চিকিৎসকরা নিয়মিত রোগী দেখছেন। তিনি আরও জানান খুলনা বিএমএ’র চিকিৎসকরাও সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সাধারণ রোগের চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ডা. গাজী মিজানুর রহমান খুলনায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য খুলনার সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসদের সমন্বয়ে কয়েকটি স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুত রাখার প্রস্তাব দেন। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য সরকারিভাবে পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা কিট) সরবরাহের আবেদন জানান।
অনুষ্ঠানে খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, ডিজিএফআই’র কর্মকর্তা, ডেপুটি সিভিল সার্জানসহ চিকিৎসক সংঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।