ফরিদপুরে নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডার ভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে পুরুষ ও কিশোরদের অংশ গ্রহনমুলক স্কুল ক্যাম্পেইন
ফরিদপুরে নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডার ভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে পুরুষ ও কিশোরদের অংশ গ্রহনমুলক স্কুল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ দুপুর ১২.৩০ টায় ফরিদপুর সদর উপজেলার ডোমরাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
নারী ও শিশুর প্রতি যেকোন ধরনের নির্যাতন এবং যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা যার ফলে শ্রেণীকক্ষে এবং বিদ্যালয়ে নির্যাতন, বাল্য বিবাহ বিশেষ করে যৌন হয়রানি বন্ধে শিক্ষার্থীরা একত্রিত /দলবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত হয় সে লক্ষেই মুলত এ ক্যাম্পেইন।
৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণীর কমপক্ষে ১০০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়ে এ ক্যাম্পেইন হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ ক্যাম্পেইনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক মোল্লা।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একাডেমিক সুপারভাইজার মুকুল চৌধুরী, ব্র্যাকের ডিভিশনাল জেন্ডার জাস্টিস এন্ড ডাইভারসিটি ম্যানেজার মোঃ সেলিম মোল্লা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কিভাবে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বা নির্যাতন দেখলে বা শুনলে কিভাবে তাদের সাহায্য করবে এ বিষয়ে বিষদ আলোচনা করেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা নুরুন্নাহার।
এ সময় তিনি শিশু নির্যাতনের তথ্য জানাতে ১০৯৮, নারী নির্যাতনের তথ্য জানাতে ১০৯ ও সাধারণ অন্যান্য সেবার জন্য ৯৯৯ এর সহায়তা নেয়ার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, শিশুদের যখন বয়ঃসন্ধি কাল শুরু হয় তখন শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয় এবং এ বিষয়ে সমাজে যে ভুল ধারণাগুলো প্রচলিত রয়েছে সে বিষয়ে সকলকে সচেতন করাও এ ক্যাম্পেইনের একটা উদ্দেশ্যে।
আলোচনা শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌন হয়রানি কারা করে এবং এদের বিরুদ্ধে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে সে বিষয়ে উপস্থিত সকলকে বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়।
পরে এই ভিডিও ক্লিপ থেকে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা হয় এবং ১ম ৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
শেষে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের শপথ পাঠ করানো হয় যেখানে শিক্ষার্থীরা সমাজের এই সকল অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে, প্রয়োজনে প্রতিরোধ করবে এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।