কুষ্টিয়া দৌলতপুর ত্রাণ নেওয়ার ছবি না তোলায় চেয়ারম্যানের চড়-থাপ্পড়
মোঃ চাঁদ আলী, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ॥কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন বিশ্বাস সরকারি ত্রাণ দেওয়ার সময় দুস্থ ও অসহায় মানুষদের ছবি তুলতে চান। এ সময় ত্রাণ নেওয়ার ছবি তুলতে অনিহা প্রকাশ করায় বেশ কয়েকজনের গায়ে হাত তোলেন চেয়ারম্যান, এমনকি মহিলাদের গায়েও হাত তুলতে বাদ রাখেননি তিনি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ত্রাণ দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে দেখা যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন বিশ্বাস ত্রান প্রদানের সময় দুস্থ অসহায় বয়স্ক মহিলা ও পুরুষদের ক্যামেরার দিকে তাকাতে বলছেন। ক্যামেরার দিকে না তাকানোয় অশ্লীল ভাষায় বাজে মন্তব্য করছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজনের গায়ে হাত তোলেন ইউপি চেয়ারম্যান।
করোনা ভাইরাস দুর্যোগে দেশে লকডাউনের মধ্যে কর্মহীন মানুষ এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুনীতি, অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার অভিযোগ অনেক। জেলা পর্যায়ে অভিযোগের কমতি নেই। আর দৌলতপুর উপজেলার অনিয়মের অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ মহিউদ্দিন বিশ্বাস।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আক্তার বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য জানান, ‘মহামারির এই সময় কতো ধরনের লোক কতো ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমি আগেও পাঁচ বছর মেম্বার ছিলাম, এখনও আছি। কেউ বলতে পারবে না- কোনো খারাপ কাজ করছি। চেয়ারম্যানের কথা বলার কিছু নাই। এইসব চেয়ারম্যান চলে নাকি। যারা জনগণের সুখ-দুঃখ না বোঝে। চেয়ারম্যান অনেক সময় সাংবাদিকদের ফোন ধরেন না।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। জানা যায়, এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন। এ কারণে ২০১৭ সালে চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পরিষদের নির্বাচিত ১২ সদস্যের (মেম্বার) সবাই অনাস্থা প্রস্তাব পাঠায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।