• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৭ই জুন, ২০২৩ ইং
Mujib Borsho
Mujib Borsho
ফরিদপুরে কৃষ্ণপুর বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত খেলার মাঠে মার্কেট নিমার্ণ

এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার হাট কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মার্কেট নিমার্ণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে দোকান ঘর নিমার্ণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত কৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও এর মাঠের সাথে স্হানীয় ইতিহাস-ঐতিহ্য জড়িত।

হাট কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিলাল হোসেন ফকির বলেন, কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই মোটা অংকের কমিশন বানিজ্যের মিশন নিয়ে সেখানে দোকান ঘর নিমার্ণ করা হচ্ছিলো। এতে মাঠটি শুধু অপ্রশস্তই হবে না বরং লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেলে দর্শক শুন্য মাঠটি এতে পরিত্যক্ত হয়ে মাদকসেবীদের অভয়ারণ্য হয়ে যাবে। এজন্য এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে মাঠের আরেক পাশে ২৯টি দোকান ঘর তুলে জামানতের ৫৫ লাখ টাকা এবং মাঠ ভরাটের নামে কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই ১২ লাখ ২৩ হাজার টাকার বিল ভাউচার দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা বিভাগের শিক্ষা পরিদর্শক মোঃ ছালেহউদ্দিন সেখ সরেজমিনে তদন্ত প্রতিবেদনে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে কারণ দশার্তে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অথচ আবার দোকান বাণিজ্য শুরু হয়েছে।

কৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিষয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ জসীমউদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষ্ণপুরে যুক্তফ্রন্ট সরকারের প্রাদেশিক পরিষদের তৎকালীন সদস্য মরহুম আব্দুল হামিদ চৌধুরীর বাড়িতে আসতেন। বিকেলে আমি নিজে তাঁকে এই মাঠে খেলতে দেখেছি। কালের স্বাক্ষী মাঠটি সংরক্ষণ ও সংস্কার করা উচিত। ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ওই এলাকার বাসিন্দা আজগর হোসেন সুজন বলেন, মার্কেট হলে একসময় হয়তো পরিত্যক্ত হয়ে ঐতিহ্যের মাঠটিই হারিয়ে যাবে।

এব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তিতাস বলেন, কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই এ দোকান নিমার্ণ করা হয়। দোকান করলেও মাঠে খেলার জায়গা থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান যে, কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই এ দোকান নিমার্ণ করা হচ্ছে। এ বাবদ এখনো কারো নিকট হতে জামানতের টাকা নেয়া হয়নি।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার এব্যাপারে বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠের সাথে বানিজ্যিক কেন্দ্র একসাথে চলতে পারেনা। আমরা এটি জানার পরে দোকান নিমার্ণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই স্হাপনা তৈরির উদ্যোক্তারা শিঘ্রই এসব মালামাল সরিয়ে নিবেন বলে আশা করি।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

জুন ২০২৩
শনিরবিসোমমঙ্গলবুধবৃহশুক্র
« মে  
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।