ফরিদপুর কারাগার করোনা ঝুঁকি এড়াতে ২৩০জন বন্দীর মুক্তির প্রস্তাব \ বন্দীদের সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্হা গ্রহন
এস এম মনিরুজ্জামান, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে ২৩০জন বন্দীকে মুক্তির প্রস্তাব কারা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে এবং করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে বন্দী ও কারা রক্ষিদের সুরক্ষায় নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসুচি। ফরিদপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুর রহিম এই প্রতিবেককে জানান, করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতামুলক কার্যক্রমের পাশাপাশি কারাগার থেকে বন্দীর সংখ্যা কমানোর প্রক্রিয়ায় সারাদেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে ৩ হাজার হাজতি ও দেড় হাজার সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দেয়ার প্রস্তাবনার অংশ হিসেবে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে এই তালিকা পাঠানো হয়েছে। কারা মুক্তির জন্য পাঠানো প্রস্তাবের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ মাসের সাজা প্রাপ্ত ৭৭জন,১বছর সাজা হয়েছে এমন ৩৯জন,কারাবিধি ১ম খন্ডের ৫৬৯ ধারায় ৪জন,যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৭৭জন,সাজা ৩ ভাগের ২ভাগ ভোগরত ১৬জন এবং লঘু অপরাধ ১৭জন সব মিলিয়ে ২৩০ জন।এদিকে কারাগার কর্তৃপক্ষ করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে ব্যাপক সচেতনতামুলক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। সর্তকতা হিসেবে কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে আপনজনদের সাক্ষাত সাময়িক বন্ধ ঘোষনা করেছেন,ভিতরে একটি টেলিফোন বুথ খুলা হয়েছে সেখান থেকে বন্দীরা মোবাইলের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যাদের সাথে কথা বলতে পারছে,নতুন কয়েদিদের আলাদা রুমে ১৪দিন রাখা হচ্ছে, বিশেষ দর্শনার্থীদের জন্য তিন ফুটের সামাজিক দুরত্ব বলায় তৈরী করা হয়েছে লাইনের জন্য। কারাগারের মূল গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ ব্যাসিন বসানো হয়েছে যাতে কারারক্ষীরা পরিস্কার হয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ভিতরে প্রবেশ করেন। কারাগারের বাইরে এবং ভিতরে প্রতিদিন দুইবার স্প্রে করা হচ্ছে। সকল বন্দীদের মাস্ক দেওয়া হযেছে।