পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল
যথাযোগ্য মর্যাদায় ফরিদপুরের মাটি ও মানুষের কবি পল্লী কবি জসিম উদদীনের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর শহরতলীর কৈজুরী ইউনিয়নের ছায়াঢাকা পাখি ডাকা নিঝুম পাড়া গাঁ তাম্বুলখানা গ্রামে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহন করেন পল্লীকবি জসীম উদ্দীন।
কবির পিতার নাম আনছারউদ্দীন, মাতার নাম আমেনা খাতুন। তিনি ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ মৃত্যু বরণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও জসিম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়।
সকাল ৮.১৫ টায় জেলা প্রশাসন,জসীম ফাউন্ডেশন, পুলিশ সুপার, আনসার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে জেলার গোবিন্দপুরে কবিব কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পরে কবির বাড়ীর আঙ্গীনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রোকসানা রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ আলীমুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আসলাম মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপক কুমার রায়, কবি পুত্র ড. জামাল আনোয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক প্রফেসর মোঃ শাহজাহান, প্রফেসর আঃ সামাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলার অপরূপ সুন্দর রুপ কবি জসিম উদ্দিন সাহিত্য ও কবিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরেছেন।
রুপসী গ্রাম বাংলাকে তাঁরমতো ভালোবেসে অন্যকেউ সাহিত্য রচনা করেননি। তিনি একজন বিখ্যাত বাঙালি কবি। তিনি বাংলাদেশে ‘পল্লী কবি’ হিসেবে পরিচিত। তাঁর লেখা কবর কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় অবদান।
তাঁর পুরো নাম জসীম উদদীন মোল্লা হলেও তিনি জসীম উদ্দীন নামেই পরিচিত। আজ ডিজিটাল যুগে গ্রাম বাংলার সেই রুপ সৌন্দর্য প্রায় হারিয়েই গেছে। গ্রাম বাংলার সেই রুপ সৌন্দর্য অনুধাবন করতে হলে জানতে হবে পল্লী কবি জসীমউদ্দীনকে, পড়বে হবে তার কবিতা/ গ্রন্থাবলী।
কবির শিক্ষাজীবন শুরু হয় ফরিদপুর শহরের হিতৈষী স্কুলে। সেখানে প্রাথমিক শেষ করে তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২১ সালে এসএসসি, ১৯২৪ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।
তিনি ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে এমএ পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৬১ সালে চাকরি থেকে তিনি অবসর নেন।
পল্লীকবি জসীম উদ্দীন বাল্য বয়স থেকেই কাব্য চর্চা শুরু করেন। কবির ১৪ বছর বয়সে নবম শ্রেণিতে থাকাবস্থায় তৎকালীন কল্লোল পত্রিকায় তার একটি কবিতা প্রকাশিত হয়।
কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ রাখালী। এরপর তার ৪৫টি বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। কবি ১৯৭৬ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি, ১৯৭৬ সালে ২১শে পদকে ভূষিত হন।
১৯৩৯ সালে তিনি মমতাজ বেগমকে বিবাহ করেন। কবির ৪ ছেলে কামাল আনোয়ার, ড. জামাল আনোয়া, ফিরোজ আনোয়ার ও খুরশীদ আনোয়ার ২ মেয়ে হাসনা জসিম উদদীন মওদুদ ও আসমা এলাহী তারা সকলেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্বনামধন্য।
এছাড়া বড় মেয়ে হাসনার জামাতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহম্মেদ ও ছোট মেয়ের জামাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানী উপদেষ্টা তৌফিক–ই-এলাহী চৌধুরী।
১৯৩৯ সালে তিনি মমতাজ বেগমকে বিবাহ করেন। কবির ৪ ছেলে কামাল আনোয়ার, ড. জামাল আনোয়া, ফিরোজ আনোয়ার ও খুরশীদ আনোয়ার ২ মেয়ে হাসনা জসিম উদদীন মওদুদ ও আসমা এলাহী তারা সকলেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্বনামধন্য।
এছাড়া পল্লীকবির অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে, নকঁশী কাথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, এক পয়সার বাশিঁ, রাখালি, বালুচর প্রভৃতি।